ডেস্ক রিপোর্ট:
পটুয়াখালী-১ আসনের নির্বাচন চলাকালে দুমকী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মিলে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ফেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুমকী উপজেলার ২২নং জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই আসনে জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন কে এম আনারুজ্জামান মিয়া।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মো. জসীম সিকদার জাতীয় পার্টির সমর্থক হলেও মশাল প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ওই কেন্দ্রে ছিলেন। অপর অভিযুক্ত মো. আবুল বাশার জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং এ আসনে জোটের প্রার্থী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের লাঙ্গল প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দুমকী উপজেলার ২২নং জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুর রহমান। তার সামনেই কালো ব্লেজার পরিহিত মো. জসীম সিকদার ব্যালট নিয়ে গোপন কক্ষে চলে যান। তিনি সেখানে বসে অনবরত কাগজে টিপ সই দিচ্ছেন এবং ব্যালট পেপারে সিল মারছেন। আবুল বাশার ব্যালট পেপারগুলো ভাঁজ করে দিচ্ছেন আর সেগুলো নিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট পেপার বাক্সে ফেলছেন। প্রায় ১০০টি ব্যালেট পেপার তারা বাক্সে ফেলেন। গত রোববার বিকেল থেকে ৭ মিনিটের এই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল বাশার বলেন, ‘আমি লাঙ্গলের এজেন্ট ছিলাম কিন্তু জসিম মশালের এজেন্ট। আমার কাছে হেল্প চাইছে পরে আমি গিয়া কয়েকটা পেপার ভাঁজ করে দিছি। পরে যখন জানছি এটা বেআইনী তখন আমি চলে আসছি।’
তবে অভিযুক্ত জসিম শিকদার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শুধু আমার ভোটটা দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও ইডিট করে কিভাবে বসাইছে জানি না।’
ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি তাদের চিনি না। তাদের বাঁধা দিছিলাম এবং প্রিজাইডিং অফিসারকেও জানাই ছিলাম। কিন্তু ওরা তার কাছে বলেই ভেতরে ঢুকেছে। দুজনই লাঙ্গলের লোক।
এ ব্যাপারে ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল ছত্তার বলেন, আমি শুনেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি ওই সময় নামাজে গিয়েছিলাম। এরপরে আমার আর কিছু জানা নেই।