
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আবারও দুই মাস (৬০ দিন) বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর এ মেয়াদ ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছিল, যা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) শেষ হতে যাচ্ছে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ক্ষমতার মেয়াদ আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আরও দুই মাস কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির বিভিন্ন ধারার আওতায় বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
প্রথমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে এ ক্ষমতা বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্যও প্রযোজ্য করা হয়। তখন এই মেয়াদ ৬০ দিনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা নভেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সময় এ ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এ সময় পুলিশের কর্মবিরতি ও সহিংসতার কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির পথে থাকলেও তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির বিভিন্ন ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা অন্তর্ভুক্ত করে নির্ধারণ করা হয়েছে তাদের কার্যক্রমের পরিসর।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর এ ক্ষমতা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।