সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটেও ক্রিকেটারদের অন্য দুই ফরম্যাটের মতো আগ্রাসী হয়ে খেলতে দেখা যায়। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপক্ষ দলের বোলারদের ওপর চড়াও হচ্ছেন ব্যাটাররা। যাকে বলা হয়ে থাকে ‘বাজবল’ ক্রিকেট। বাংলাদেশ দলও কি সেই পন্থায় ফিরছে, আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগে অনুশীলনে অবশ্য সেরকমই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে।
সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে টেস্টে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার কথাই জানালেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট। তার আগে দলের প্রতিনিধি হয়ে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মিরাজ। সেখানে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন আক্রমণাত্মকভাবে খেলার লক্ষ্য থাকবে তাদের।
মিরাজ বলেন, ‘একটা জিনিস যদি দেখেন, বর্তমানে কিন্তু সব ফরম্যাটেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট হচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেটও এখন আগ্রাসীভাবে খেলা চলছে। তাই আমাদেরও লক্ষ্য থাকবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটটা খেলা।’
দলের অন্যতম এই অলরাউন্ডারের মতে, রান করাটাই মুখ্য। মিরাজ বলেন, ‘দিন শেষে রান করাটাই মুখ্য। সাদা বল, লাল বল কোনো বিষয় না। মূল বিষয়টা হলো রান করা। একটা খেলোয়াড় রান পাচ্ছে কি না, ১০০ করছে কি না - এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
র্যাংকিংয়ের পেছনের সারির দলগুলোর বিপক্ষে খেললে মনোযোগ একটু কম থাকে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, 'আন্তর্জাতিক খেলা মানে আন্তর্জাতিক খেলা। এখানে এক নম্বর দলের সঙ্গে খেললে যেমন অনুভূতি কাজ করে, ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে খেললেও সেই একই অনুভূতি কাজ করে।’
এখনো পর্যন্ত ৩৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মিরাজের উইকেটসংখ্যা ১৪৬টি। আর ৪ উইকেট পেলেই ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। নিজের এমন মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘মাইলফলক স্পর্শ করব কি করব না, এটা নিয়ে আমি কোনো চিন্তা করছি না। আমি লম্বা সময়ের কথা ভাবছি। ১৫০ উইকেট হলে ভালো লাগবে। তবে আমি চিন্তা করছি আরো অনেকদিন খেলব, আরো অনেক উইকেট পাব ইনশাল্লাহ।’