খেলারপত্র ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে মুস্তাফিজুর রহমান নিস্প্রভ থাকলেও আলো ছড়িয়েছেন বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। স্বাগতিক দলের এই পেসারকে দেখে শিক্ষা নিয়েছে সফরকারী পেসাররাও।
বাংলাদেশ দুই ম্যাচে হারলেও তাসকিনের বোলিং নজর কেড়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচের আগে তাসকিনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মার্ক উড। স্বাগতিক ডানহাতি পেসারকে দেখেই বোলিংয়ের সঠিক জায়গা ধরতে পেরেছেন বলে জানান এই ইংলিশ ফাস্ট বোলার।
মিরপুরে দুই ম্যাচে ৪ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। প্রথম ম্যাচে স্রেফ ১ উইকেট নিলেও তার গতিময় নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে সফরকারীদের। স্রেফ ২০৯ রানের পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশ যে লড়াই করেছে, তাতে বড় অবদান ছিল তাসকিনের। ৯ ওভারে স্রেফ ২৬ রান খরচ করেন তিনি।
ওই ম্যাচে নতুন বলে মুভমেন্টের পাশাপাশি সুইং ও বাড়তি বাউন্সে ফিল সল্ট, দাভিদ মালানদের আটকে রাখেন তাসকিন। তার ওই বোলিং দেখেই মিরপুরে বোলিং করার জন্য আদর্শ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পান জফ্রা আর্চার, ক্রিস ওকস, উডরা। তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাসকিনের প্রশংসা করে সে কথাই বলেন উড।
“তাসকিন খুবই প্রশংসনীয় পারফর্ম করেছে। আমার একার না, সবার নজর কেড়েছে সে। (আমাদের) পুরো দল বলেছে, সে কতটা ভালো বোলিং করেছে। সে খুব গতিতে বল করেছে, ভালো লেংথে রেখেছে। প্রথম ম্যাচে সেই আমাদের পেসারদের দেখিয়েছে যে কোন জায়গায় আসলে বল করা উচিত। আমরা তার পারফরম্যান্স থেকে অনেক কিছু নিয়েছি... আমি, জফ্রা (আর্চার) ও (ক্রিস) ওকস।”
“সে যে জায়গায় বল করেছে, আমাদের চাপে রেখেছে। এমন না যে শুধু উইকেট নিয়েছে, সে খুব আঁটসাঁট বোলিং করেছে। তার পারফরম্যান্স খুবই প্রশংসনীয় ছিল। সব ব্যাটসম্যান বলেছে, সে খুব ভালো পারফর্ম করেছে। আশা করি... সত্যি বলতে আমি চাই না সে খারাপ করুক। তবে আসছে ম্যাচেও সে ভালো করুক এবং অনেক উইকেট নিক, এটা আমি চাই না। অবশ্যই সে খুব প্রশংসনীয় বোলিং করছে।”
দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার ছিলেন তাসকিন। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে ৬৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। তার প্রথম ৬ ওভার থেকে স্রেফ ২৬ রান নিতে পেরেছিল ইংল্যান্ড।