খেলারপত্র ডেস্ক:
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মানেই সাপে নেউলে সম্পর্ক। কেউই একে অপরের হয়ে গলা ফাটাতে রাজী নয়। আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার পরই অনেক তারকা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারই লিওনেল মেসিদের সমর্থন দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে কেউ কেউ আবার ব্যতিক্রমীও ছিলেন। সেই ব্যতিক্রমীদের মধ্যে একজন পেলে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতায় খুশি হয়েছিলেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। একইসঙ্গে বিশ্বকাপটা মেসির প্রাপ্য ছিল বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
মেসিরা বিশ্বকাপ জেতার ১১ দিন পরই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ফুটবল সম্রাট। বিশ্বকাপের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই হাসপাতালে শয্যাশয়ী ছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনার হাতে শিরোপা উঠার পর তার খুশি সচোক্ষে দেখেছিলেন মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। ইনস্টাগ্রামে সেই গল্প সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেন তিনি।
মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর সঙ্গে তোলা ছবি প্রকাশ করে কেলি লেখেন, ‘মেসির সঙ্গে কখনো দেখা করার সুযোগ হয়নি আমার। তাই যখন তার (মেসির স্ত্রী) সঙ্গে পার্টির জাদুকরী জায়গায় (লেডিস ওয়াশরুম) দেখা হলো, আমি তার মাধ্যমে মেসিকে বার্তা দিয়েছি।’
যখন ক্রোয়েশিয়ার কাছে ব্রাজিল হারল, আমার বাবার অবস্থা তখন আরও খারাপ ছিল। সবাই চাচ্ছিল আমার বাবার জন্য যেন ব্রাজিল এই বিশ্বকাপটা জেতে। কিন্তু তিনি (পেলে) অন্য যে কোনো মানুষের চেয়ে ফুটবলটা ভালো বোঝেন। খেলাটির প্রতি তার ভালোবাসা ও সম্ভাব্য জয়ী দলের কথা তিনি সবসময়ই বলতেন।’
“ব্রাজিলের হারের পর হাসপাতাল রুমে প্রবেশ করা সবাই বলতেন, ‘পেলে, এখন কোন দলকে সমর্থন দেবেন? নিশ্চয়ই আর্জেন্টিনা নয়!’ এর উত্তরে বাবা বলেন, ‘হ্যাঁ, আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন দেব। এই কাপ লাতিন আমেরিকাতেই থাকা উচিত এবং মেসির এটা প্রাপ্য। ’ সবাই তখন বিস্মিত হয়ে বলতেন, আর্জেন্টিনা? কীভাবে?”
‘তারপর বাবা বলেন, হ্যাঁ, এটা মেসিরই প্রাপ্য।’ ‘তিনি টেলিভিশনে ফাইনাল দেখতে পারেননি। তবে যখন বুঝলেন আর্জেন্টিনা জিতেছে এবং মেসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন, তখন খুশি হয়েছিলেন তিনি।’ ‘ফুটবল দীর্ঘজীবি হোক।’ ক্যান্সারের কাছে হার মেনে গত ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন পেলে। কিন্তু ফুটবল বিশ্বে অমর হয়ে থাকবেন তিনটি বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।