অর্থনীতি ও বাণিজ্য ডেস্ক:
চলতি বছরের প্রথম মাসেই আর্জেন্টিনার খাদ্যশস্য ও তেলবীজ রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬১ শতাংশ। লম্বা সময় ধরেই খরার কারণে এসব পণ্য উৎপাদন বিপর্যস্ত। যার প্রভাব পড়েছে রফতানি আয়ে। দেশটির খাদ্যশস্য রফতানিকারক কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম। কেন্দ্রটি জানায়, জানুয়ারিতে আর্জেন্টিনা ৯২ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের খাদ্যশস্য ও তেলবীজ রফতানি করেছে। আগের মাসের তুলনায় রফতানি কমেছে ৭৫ শতাংশ।
লা নিনা আবহাওয়া পরিস্থিতিতে তিন বছর ধরেই চ্যালেঞ্জের মুখে আর্জেন্টিনার কৃষি খাত। ২০২২-২৩ মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে দেশটির সয়াবিন ও ভুট্টা আবাদ পিছিয়েছে। অর্ধেকে নেমেছে গম উৎপাদন। আর্জেন্টিনায় খাদ্যশস্য রফতানি আয় এমন সময় কমল, যখন দেশটির অর্থনীতি ব্যাপক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের শেষ দিকে আর্জেন্টিনায় মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ১০০ শতাংশে উঠেছিল, যা ৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে দেশটির মুদ্রার দামও কমেছে নাটকীয়ভাবে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে আর্জেন্টিনার সয়াবিন রফতানি ৫৭ লাখ টনে পৌঁছতে পারে, যা কয়েক বছরের তুলনায় অনেক কম। চলতি বছর ১ কোটি ২৫ লাখ টন গম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০২১-২২ মৌসুমের রেকর্ড ২ কোটি ২১ লাখ টনের অর্ধেক। শস্যটির রফতানি নামতে পারে ৭৫ লাখ টনে, যা গত মৌসুমের মোট রফতানির অর্ধেকেরও কম।