ক্রীড়া প্রতিবেদক:
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখোমুখি দেখায় ভারতের বিপক্ষে ৮৩ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেই স্মৃতি যেন ফিরে এলো জোহানেসবার্গে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১১৬ রানেই থামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। নিজেদের মাটিতে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।
সাদা বলে ভারতের পারফরম্যান্স দেখে মনে হতেই পারে, এই দলের বিশ্বকাপ ফাইনাল হারাটাই বড় এক অঘটন। বিশ্বকাপজুড়ে দারুণ খেলা ভারত নিজ দেশের মাটিতে ফাইনালে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এবার নিজেদের সেই ক্ষুরধার ফর্মটাই তারা টেনে আনলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। প্রোটিয়াদের রীতিমত লজ্জায় ডুবিয়েছে ভারতের বোলাররা।
আরও একটু পরিস্কার করে বললে টিম ইন্ডিয়ার দুই পেসার আর্শদীপ সিং ও আবেশ খানের আগুনে পুরে ভস্ম হয়েছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। মূল দলের অনেকেই নেই স্কোয়াডে। একেবারেই তরুণদের নিয়ে গড়া এক দল হাজির হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
তবে সেই তরুণরাই বিধ্বস্ত করেছে স্বাগতিক ব্যাটারদের। আরও স্পষ্ট করে বললে আর্শদীপ সিং ও আবেশ খানের কাছেই নাস্তানাবুদ হয়েছেন এইডেন মার্করাম-হেনরিখ ক্লাসেনরা।
প্রোটিয়াদের ৯টি উইকেটেই পেয়েছেন এই দুই পেসার। প্রথম ভারতীয় পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন আর্শদীপ সিং। এ ছাড়া চারটি উইকেট গেছে আবেশ খানের দখলে। বাকি একটি উইকেট কুলদীপের দখলে গেছে।
নবম উইকেটে অ্যানডাই ফেলুকায়ো এবং কেশব মহারাজ মিলে কিছুটা প্রতিরোধ না গড়লে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো প্রোটিয়াদের। এ দুজন মিলে যোগ করেন ২৮ রান। তাতেই নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা থেকে বেঁচে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এগার নাম্বারে নামা তাবরাইজ শামসি ৮ বলে ১১ রান করে দলের স্কোর টেনে নিয়ে যান ১১৬ পর্যন্ত।