ডেস্ক রিপোর্ট:
স্ত্রী, এক কন্যা সন্তানসহ মজিদ শহরের বস্তিতে বসবাস করে। গলায় একটি বাক্স ঝুলিয়ে ইঁদুর, তেলাপোকা আর ছাড়পোকা মারার ওষুধ বিক্রি করে মজিদ। আর তার স্ত্রী মানুষের বাসায় কাজ করে। তাদের একমাত্র মেয়ে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস টুতে পড়ে। মজিদের ইচ্ছা সে তার মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে বড় বিজ্ঞানী বানাবে। যদিও সে জানে না যে বিজ্ঞানীদের কাজ কি। মজিদের বউ তার এই পেশাটা পছন্দ করে না। মানুষজন তাকে নিয়ে উপহাস করে।
এক বন্ধুর পরামর্শে মজিদ আখের রস বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিছুদিনের মধ্যেই মজিদ এই ব্যবসার ফাঁকফোকর সব শিখে ফেলে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সে লক্ষ্য করে, তার আখের রস মানুষ খায় না। কারণ তার আখের রস মিষ্টি না। বেশি দামের আখ কিনলে তার রস মিষ্টি হয়। কিন্তু তাতে খরচ অনেক বেশি। বন্ধুর পরামর্শে মজিদ একটা সমাধান খুঁজে পায়। সেটা হচ্ছে, সামান্য দামে পঁচা বাশি, শুকনা আখ কিনে তাতে স্যাকারিন মিশানো পানি মিশিয়ে দিলে রস খেতে খুব মিষ্টি হবে। এই বুদ্ধিটা কাজে দেয়।
এবার ব্যবসায় মজা পেয়ে যায় মজিদ। এখন তার রস প্রচুর বিক্রি হয়। টাকা আসতে থাকে ঘরে। স্যাকারিন মিশানো পানি ব্যাবহার করায় একবার জনতার হাতে ধরা পড়ে বেশ মারও খায় সে। তবে মজিদ দমে যায় না। অন্য বুদ্ধি বের করে। আর এই বুদ্ধিতে ব্যবসা চললেও তার জীবনে নেমে আসে করুণ পরিণতি।
এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে একক নাটক ‘আহা মজিদ’। মজিদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর। তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। নাটকটি রচনা করেছেন আসাদুজ্জামান সোহাগ। পরিচালনা করেছেন বর্ণ নাথ। ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন রাত ৮টায় মাছরাঙা টিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।