Date: April 20, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / বিশেষ নিবন্ধ / ইসলাম আগমনের উদ্দেশ্য: দু’টি উদাহরণ

ইসলাম আগমনের উদ্দেশ্য: দু’টি উদাহরণ

December 05, 2022 04:19:20 PM   বিশেষ নিবন্ধ
ইসলাম আগমনের উদ্দেশ্য: দু’টি উদাহরণ

মোহাম্মদ আসাদ আলী:
প্রথম ঘটনা:
আল্লাহর রসুল (সা.) কা’বা শরীফের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন। সময়টা অত্যন্ত কঠিন। তিনি ও তাঁর সাহাবীগণের (রা.) ওপর প্রচণ্ড বাধা এবং অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। হঠাৎ একজন সাহাবা খাব্বাব (রা.) বললেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই অত্যাচার নিপীড়ন আর সহ্য হচ্ছে না। আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন আমাদের বিরোধীরা সব যেন ধ্বংস হয়ে যায়।”
কথাটাকে আল্লাহর রসুল যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেন। তিনি হেলান ছেড়ে সোজা হয়ে বসলেন এবং ঐ সাহাবাকে বললেন, “তুমি কী বললে?” 
“ইয়া রসুলাল্লাহ! এত নির্যাতন নিপীড়ন আর সহ্য হচ্ছে না। আপনি বরং ওদের ধ্বংস হবার দোয়া করে দিন।” - খাব্বাব (রা.) তার কথার পুনরাবৃত্তি করলেন।
খাব্বাব (রা.) কেন এই কথা বললেন তা আল্লাহর রসুলের অজানা নয়। শুধু ইসলাম গ্রহণের অপরাধে যেই সাহাবীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল খাব্বাব (রা.) ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। মোশরেকরা একত্রিত হয়ে তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে রাখত। দিনের বেলায় উত্তপ্ত মরুর বালুতে খালি গা করে শুয়ে রাখা হতো খাব্বাব (রা.) কে। প্রচণ্ড পিপাসায় কাতর হয়ে যখন তিনি পানির জন্য ছটফট করতেন, তখন তারা বিরাটকায় পাথরকে আগুনে গরম করে তার উপর খাব্বাব (রা.) কে শুইয়ে রাখত, আর প্রচণ্ড যন্ত্রণায় খাব্বাব (রা.) চিৎকার করতেন। কাফেরদের কেউ কেউ পা দিয়ে তাকে ঠেসে ধরে রাখত, আর অসহায় খাব্বাবের দু’কাধ থেকে চর্বি গলে গলে পড়ত। কাফেরদের এই পৈশাচিকতার ফলে খাব্বাবের (রা.) পিঠের গোস্ত উঠে গিয়েছিল। এগুলো ইতিহাস। শুধুই আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা দেওয়ার কারণে যারা একজন মানুষের উপর এহেন অত্যাচার চালাতে পারে তারা তো ধ্বংসেরই যোগ্য! 
কিন্তু আল্লাহর রসুল খাব্বারের অনুরোধ শুনে ধ্বংসের দোয়া করলেন না। তিনি সোজা হয়ে বসে খাব্বাবের (রা.) দিকে তাকিয়ে বললেন, “শোন, শীঘ্রই সময় আসছে যখন কোন যুবতী মেয়ে গায়ে গহনা পরে একা সা’না থেকে হাদরামাউত যাবে। তার মনে এক আল্লাহ এবং বন্য জন্তু ছাড়া আর কোন ভয় থাকবে না।” [খাব্বাব (রা.) থেকে বোখারী ও মেশকাত]।
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই হাদীসটি থেকেই আমরা ইসলামের উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে জানতে পারি। প্রথমত, আল্লাহর রসুল উদাহরণস্বরূপ বললেন- মেয়ে লোক, কোনো পুরুষের কথা বললেন না। কারণ নারীদের প্রাণ ও সম্পদ ছাড়াও আরও একটি জিনিস হারাবার সম্ভাবনা আছে যা পুরুষের নেই। সেটা হল ইজ্জত, সতীত্ব, সম্ভ্রম। দ্বিতীয়ত, ঐ নারী বয়সে যুবতী। অর্থাৎ লোভাতুরদের কাছে আরও লোভনীয়। তৃতীয়ত, অলঙ্কার গহনা পরিহিত, চোর ডাকাতের জন্য লোভনীয়। 
এতগুলো লোভনীয় বিষয় থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর রসুল বলছেন, অনুরূপ একটি অলঙ্কার পরিহিত যুবতী নারী একা সা’না শহর থেকে প্রায় তিনশ’ মাইল দূরবর্ত্তী হাদরামাউতে যেতে পারবে, যা অন্তত কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার, এত দীর্ঘ পথে আল্লাহ এবং বন্য জন্তু ছাড়া কোন ভয় থাকবে না। 
চতুর্থত, মেয়েটি শুধু পথের নিরাপত্তা সম্বন্ধেই নিশ্চিন্ত হবে না, বরং বন্য জন্তু ছাড়া অন্য কোন রকম বিপদের কোন আশঙ্কাই তার থাকবে না।
পঞ্চমত, লক্ষ করার বিষয়, আল্লাহর রসুল কিন্তু বলেননি কেবল মুসলিম নারী বা হিন্দু নারী বা খ্রিষ্টান নারী বা ইহুদি নারী ইত্যাদি। অর্থাৎ, সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের নারীর জন্যই এই অভাবনীয় নিরাপত্তাটি কায়েম হবে।
এখানে পাঠকদেরকে বিবেচনা করতে হবে কোন্ সময়ে আল্লাহর রসুল উক্ত কথাগুলো বলছেন? যখন কিনা মেয়ে শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি সদ্য ঈমান আনয়নকারী মুষ্টিমেয় মো’মেন-মো’মেনারাই কঠোর নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলেন, কাউকে কাউকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু আল্লাহর রসুল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, এই অবস্থা চিরদিন থাকবে না। খুব শিগগিরই এই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটবে। অচিরেই এমন সমাজব্যবস্থা কায়েম হবে যেখানে অন্যায়, অবিচার ও অনিরাপত্তার বিন্দুমাত্র আশঙ্কাও থাকবে না। এই হাদিস থেকেই সুষ্পষ্ট হয়ে যায় একটি বিষয় যে, ইসলামের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন সমাজব্যবস্থা কায়েম করা যেখানে কোনো হিংসা থাকবে না, আতঙ্ক থাকবে না, অনিরাপত্তা থাকবে না এবং ইতিহাস সাক্ষী রসুলাল্লাহর ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হয়নি। বাস্তবেই তেমন একটি শান্তিময় ও নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঘটনা:
অষ্টম হিজরীর মক্কা বিজয়ের দিন। আজ আল্লাহর রসুল মক্কার সর্বেসর্বা, এমন কেউ নেই তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকায়। তিনি যেন অন্য মোহাম্মদ (সা.)। যেই মোহাম্মদকে (সা.) মক্কার মোশরেকরা এতদিন অবজ্ঞা, অপমান আর বিদ্রƒপ করে এসেছে, যার পদে পদে প্রতিবন্ধকতার প্রাচীর খাড়া করেছে, যাকে হত্যার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র পাকিয়েছে, যার রক্তে তায়েফের মাটি রক্তিমবর্ণ ধারণ করেছে, সেই মোহাম্মদ (সা.) আজ দশ হাজার সৈন্যের দুর্ধর্ষ এক বাহিনীর সেনাপতি। তিনি আজ আরবের অধিপতি। মক্কার একচ্ছত্র ক্ষমতার মালিক। যার অঙ্গুলি নির্দেশের সাথে সাথে শতশত কাফের মোশরেকের মস্তক ধুলোয় গড়াগড়ি খেতে পারে। মক্কা যে রসুলকে একদিন বের করে দিয়েছিল সে মক্কা আজ তাঁর পদতলে। চতুর্দিকে মুসলিম সেনা কাফেরদের ঘেরাও করে আছে। আল্লাহর রসুলের কৃপার উপরে আজ মক্কাবাসীর জীবন। তিনি যাদেরকে জীবন ভিক্ষা দেবেন তারা বাঁচবে, যাদেরকে ঘরে থাকতে দেবেন তারা ঘরে থাকবে, যাদেরকে বাহিরে থাকতে দেবেন তারা বাহিরে থাকবে। রসুলাল্লাহ যাদেরকে আজ লোহিত সাগরে নিক্ষেপ করবেন তারা লোহিত সাগরে নিক্ষিপ্ত হবে। আজকের দিনে মক্কা নগরীতে কারো সাধ্য নেই রসুলাল্লাহর কথাকে অমান্য করে। মক্কায় আজ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের নিরংকুশ বিজয়। আজকের এই দিন অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিগৃহীত জনতার বিজয়ের দিন, অধর্মের বিরুদ্ধে ধর্মের, অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিজয়ের দিন।
এই দিনে আল্লাহর রসুল কী করলেন? প্রথমে তিনি কাবাকে পবিত্র করলেন। কাবাঘরে অবৈধভাবে যে মূর্তিগুলো মোশরেকরা স্থাপন করেছিল সেগুলো তিনি ধুয়ে মুছে সাফ করলেন। কাবার সেই পবিত্রতা ফিরিয়ে দিলেন যেমনটা ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) রেখে গিয়েছিলেন। এরপর বেলাল (রা.) কে ডাকলেন। তাকে বললেন কাবার ছাদে উঠে আজান দিতে। ইতিহাস বলে- সেদিন বেলালের (রা.) নাভির উপর থেকে কোনো কাপড় ছিলো না, মাথায় পাগড়ির তো প্রশ্নই ওঠে না। শুধু লজ্জাস্থান ঢাকার মতো এক টুকরো কাপড় কোমরে প্যাঁচানো ছিলে। সেই অর্ধ-উলঙ্গ বেলালকে (রা.) আল্লাহর রসুল কাবার ছাদে উঠিয়ে দিলেন (আসহাবে রসুলের জীবনকথা-১ম খণ্ড)। তারপর বেলাল (রা.) উচ্চৈঃস্বরে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের আযান দিলেন। আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠল। হাজার হাজার সাহাবীর চোখ তখন অশ্রুতে ছলছল। সেদিন মহাপবিত্র বায়তুল্লাহ কাবা’র উপরে দণ্ডায়মান কৃতদাস বেলাল (রা.)।
এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয়। 
প্রথমত, তিনি পারতেন আজান দেওয়ার জন্য বেলালকে (রা.) কাবার উপর না উঠিয়ে কোনো পাহাড়ে বা পাথরের উপর উঠিয়ে আজান দেওয়াতে। কিন্তু তা করলেন না, পবিত্র ক্বাবার ছাদেই উঠালেন।
দ্বিতীয়ত, পবিত্র কাবাকে মোশরেকরা কত ভক্তি-শ্রদ্ধা করত আল্লাহর রসুল কি তা জানতেন না? কথিত আছে, রসুলাল্লাহর পিতামহ আব্দুল মোত্তালেব যিনি ছিলেন পবিত্র কাবার সেবায়েত, তিনি তার দীর্ঘ দাড়ি দিয়ে কাবার ধূলা পরিষ্কার করতেন, ঝাড়ু লাগাতেন না। সেই ধর্মীয় সেন্টিমেন্টের কোনো পরোয়াই আল্লাহর রসুল করলেন না।
তৃতীয়ত, আল্লাহর রসুলের সঙ্গে তো আরো দশ হাজার সাহাবি ছিলেন, তাদের মধ্যে কোরায়েশ সাহাবিরও অভাব ছিলো না। তাদের কাউকে ওঠালেও তো পারতেন, যেমন খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) ছিলেন, রসুলাল্লাহর নিজের জামাতা উসমান (রা.) ছিলেন। কোরাইশদের মধ্যে তাদের অনেক প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল। কোরাইশরা তাদেরকে সমীহ করত। কিন্তু আল্লাহর রসুল তাদের কাউকে এর উপযুক্ত মনে করলেন না, তিনি হাজার হাজার সাহাবী থেকে বেছে নিলেন এক সময়ের হাবশী ক্রীতদাস বেলালকে (রা.), যেই বেলালকে ওই মক্কার কোরাইশরা পশুরও অধম মনে করত। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন? 
কারণ আর কিছু নয়, আল্লাহর রসুল এই ঘটনার দ্বারা মানবজাতির জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছেন, একটি শিক্ষা রেখে যেতে চেয়েছেন যে, মো’মেনের সম্মান আল্লাহর কাবারও ঊর্ধ্বে, যদিও সেই মো’মেন সমাজের সবচাইতে দুর্বল মানুষটি হয়, সবচাইতে অবহেলিত নির্যাতিত অবজ্ঞাত উপেক্ষিত মানুষটি হয়, এমনকি কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস হয়। প্রকৃতপক্ষে জাত্যাভিমানে অন্ধ কোরায়েশদের গালে এই ঘটনা ছিলো এক চপেটাঘাত। এ ঘটনার দ্বারা আল্লাহর রসুল কোরায়েশদের অহংকার, আরব জাতীয়তাবাদীদের অহংকার মরুভূমির বালুতে মিশিয়ে দিলেন। তিনি প্রমাণ করে দিলেন, মানুষে মানুষে যেই কৌলীন্যের দেয়াল খাড়া করে রাখা হয়েছে, ইসলাম তা অস্বীকার করে। ইসলামে মানুষের মর্যাদা তার বংশগৌরব ও প্রভাব-প্রতিপত্তির মাপকাঠিতে নির্ধারিত হবে না, নির্ধারিত হবে তার চরিত্র দিয়ে, তার কর্ম দিয়ে। 
মো’মেনদের সম্মান সম্পর্কে আল্লাহর রসুলের মূল্যায়ন আমরা আরও বহু হাদিস ও ইতিহাস থেকে জানতে পারি। যেমন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, “একদিন আল্লাহর রসুল কাবার দিকে দৃষ্টিপাত করে বললেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তুমি অত্যন্ত পবিত্র এবং তোমার ঘ্রাণ অতি মিষ্ট। তুমি অতি সম্মানিত। তবে একজন মো’মেনের পদমর্যাদা ও সম্মান তোমার চেয়েও অধিক। আল্লাহ একজন মো’মেন সম্পর্কে এমনকি কু-ধারণা পোষণ করাকেও হারাম করেছেন।” (তাবারানি) অপর বর্ণনায় আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, “আমি রসুলাল্লাহকে একদিন কাবা তাওয়াফ করার সময় বলতে শুনেছি, ‘হে কাবা! কী বিরাট তোমার মহিমা আর কী মিষ্টি তোমার সুবাস। তুমি কত মহান আর তোমার পবিত্রতাও কত মহান! কিন্তু তাঁর শপথ যাঁর হাতে মোহাম্মদের প্রাণ, আল্লাহর দৃষ্টিতে একজন মো’মেনের পবিত্রতা তোমার পবিত্রতার চাইতেও অধিক (ইবনে মাজাহ)। আরও বর্ণিত আছে, আল্লাহর রসুল একদিন পবিত্র পাথর হাজরে আসওয়াদের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছিলেন, “হে কালো পাথর। কসম সেই আল্লাহর যাঁর নিয়ন্ত্রণের অধীন আমার সকল অনুভূতি! একজন মো’মেনের সম্মান ও পদমর্যাদা আল্লাহর কাছে তোমার সম্মান ও মর্যাদার চাইতেও অধিক মহিমান্বিত।” (ইবনে মাজাহ, আস-সুয়ূতি, আদ-দার আল মানসুর)। যুগে যুগে সত্যনিষ্ঠ মানুষের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত এই বিরাট সম্মান ও মর্যাদাকে যখনই হরণ করা হয়েছে, আল্লাহর অতি প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে অন্যায়ভাবে দমন-পীড়ন করা হয়েছে, তখন অত্যাচারীর খড়গ থেকে নিপীড়িত মানুষকে মুক্ত করতেই আল্লাহ নবী-রসুল পাঠিয়েছেন, ইসলাম পাঠিয়েছেন।
এই দু’টি ঘটনা থেকে আমরা ইসলামের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা (আকীদা) পাই। সেটি হলো, মহানবীর সারা জীবনের সংগ্রাম, সাধনা, জেহাদ ও বালাগের একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল মানুষের মুক্তি, মানবতার মুক্তি। এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে মানুষ পূর্ণ নিরাপত্তা পাবে, দুর্বলের উপর থাকবে না সবলের অত্যাচার, সমস্ত রকম অন্যায়-অপরাধ থেকেই মুক্তি পাবে মানবজাতি। আল্লাহর দেওয়া দীন কায়েমের মাধ্যমে এই কাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি করা যে অসম্ভব নয় সেটিও আল্লাহর রসুল তাঁর জীবদ্দশাতেই প্রমাণ করে গেছেন। আজও যদি মানবজাতি আল্লাহর দেওয়া সত্যদীন গ্রহণ করে নেয় তাহলে সন্দেহ নেই যে, এই ধরাপৃষ্ঠ থেকে অচিরেই সমস্ত অন্যায় ও অত্যাচারের কালিমা মুছে যাবে, সমগ্র পৃথিবী আবৃত হবে ন্যায়, সাম্য, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার চাদরে।
 

[মোহাম্মদ আসাদ আলী: যুগ্ম সাহিত্য সম্পাদক, হেযবুত তওহীদ; ফেসবুক: facebook/asadali.ht, ফোন: ০১৬৭০-১৭৪৬৪৩, ০১৭১১-০০৫০২৫, ০১৯৩৩-৭৬৭৭২৫]