খেলারপত্র ডেস্ক:
ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে মাসজুড়ে উজ্জ্বল অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার পুরস্কার পেলেন সাকিব আল হাসান। নিউ জিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খানকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয়বারের মতো ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
মার্চ মাসের সেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বুধবার ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন রুয়ান্ডার অলরাউন্ডার হেনরিয়েট ইশিমউই।
মাস সেরার লড়াইয়ে তিনবার জায়গা পেয়ে দুইবারই বাজিমাত করলেন সাকিব। ২০২১ সালের জুলাইয়ের সেরা হয়েছিলেন তিনি। ওই বছরের অক্টোবরে সেরার লড়াইয়ে থাকলেও সম্মাননাটি জিততে পারেননি ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
গত মাসে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন সাকিব। ৭১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৫ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরা হন তিনি।
২-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়া ওই সিরিজে ২ ফিফটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪১ রান ছিল সাকিবের। বল হাতে তার ৬ উইকেট সিরিজে দেশের হয়ে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশ করার পথেও ভূমিকা ছিল অধিনায়ক সাকিবের। তিন ম্যাচের প্রতিটিতেই উইকেট নেন তিনি। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে খেলেন ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি।
আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ফর্ম ধরে রাখেন সাকিব। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেন ৯৩ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৪ বলে করেন অপরাজিত ৩৮। এই সংস্করণের তিন ম্যাচে ধরেন ৫ শিকার। পুরস্কারটি জিতে উচ্ছ্বসিত সাকিব বললেন, টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারা ছিল তার দলের বড় প্রাপ্তি।
“আমি পুরষ্কারটি জিততে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই স্বীকৃতি আমার কাছে খুবই মূল্যবান, কারণ অনেক চমৎকার সব ক্রিকেটার গত এক মাসে অনেকগুলো বিশেষ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন।”
“গত মাসের থেকে যদি সেরা মুহূর্ত বাছাই করতে হয়, তাহলে সেটা হবে দল হিসেবে সব বিভাগে চমৎকার পারফরম্যান্স ধরে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করা। নিজের ভূমিকায় মনোনিবেশ করা এখন আমার জন্য খুব সহজ।”
রুয়ান্ডার ইশিমউই মাস সেরা হয়েছেন নাইজেরিয়ান ক্রিকেট ফেডারেশন উইমেন’স ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে। পাপুয়া নিউগিনির সিবোনা জিমি ও রাভিনা ওয়াকে পেছনে ফেলেছেন তিনি।
মার্চে খেলা তিন টি-টোয়েন্টিতে রুয়ান্ডার হয়ে যথাক্রমে ৩২, ১৭ ও ৪৩ রান করেন ইশিমউই। আর বল হাতে ঘানার বিপক্ষে ৪ রানে ৪ উইকেট নেওয়া এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যামেরুনের সঙ্গে ধরেন ৬ রানে ৫ শিকার।
আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।