বিনোদন ডেস্ক:
আরিফিন শুভ ও আফসান আরা বিন্দু দুই মেরুর দু’জন মানুষ। একজন অন্যজনের থেকে একদম বিপরীত। উনিশ-বিশ নয়; তারা যেন উনিশ-উনচল্লিশ। যখন তারা সম্পর্কের বাঁধনে বাঁধা পড়ে, যখন একছাদের নিচে আসে তখন কি হয়? অমিলটাই যেন তাদের মিল! আর বিচ্ছেদটাই যেন তাদের প্রেমের জন্মগাঁথা!
এই ফাল্গুনে ‘বড় ছেলে’খ্যাত নির্মাতা মিজানুর রহমান আসছেন সিনেমা ‘উনিশ২০’ নিয়ে। সম্পর্ক নয়, কিছু প্রেম বিচ্ছেদে জন্মায়- এই ট্যাগলাইন নিয়ে আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। দীর্ঘদিন পর এই সিনেমার মধ্য দিয়ে জুটি বেঁধেছেন আরিফিন শুভ ও আফসান আরা বিন্দু। প্রথম থেকেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে সিনেমাটি। ফিল গুড লাভ স্টোরি/ফিল গুড রোমান্স ঘরানার ৯০ মিনিটের এই সিনেমায় থাকবে তিনটি গান। এরই মধ্যে সিঁথি ও সাকিবের গাওয়া ‘পাখি পাখি মন’ দর্শকনন্দিত।
বর্তমানে বড়পর্দা কাঁপানো অ্যাকশন হিরো আরিফিন শুভ অপেক্ষায় আছেন তার রোমান্টিক এই সিনেমার মুক্তি নিয়ে। তিনি বলেন, এখন কোনো কিছুই বলতে চাই না। ১৩ তারিখ থেকে যখন মানুষ দেখা শুরু করবে, তারা কি বলবে তা জানার অপেক্ষায় আছি।
সিনেমাটা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কি? এমন প্রশ্নে শুভ বলেন, সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা তো আছেই। আপাতত চাই মানুষ সিনেমাটা দেখুক। সুন্দর কিছু গান, কিছু ভালোবাসার মুহূর্ত, মন ভালো, মন খারাপ, দর্শকের অনুভূতি কি; সব জানার জন্য মুখিয়ে আছি।
অভিনেত্রী বিন্দু আপাতত কিছু বলতে চান না। খুব করে অপেক্ষায় আছেন ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার। তবে তিনি বেশ নার্ভাস। সিনেমা মুক্তির পর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চার তিনি। এর আগে একই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মাণ করেছিলেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’। যেটি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। ‘উনিশ২০’ নিয়ে আরিয়ান বলেন, আমাদের দেশে সিনেমা নির্মাণ খুব সহজ কাজ নয়। অসংখ্য প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে একটা সিনেমা বানাতে হয়। কিন্তু সেসব প্রতিকুলতা, কঠিন অভিজ্ঞতা সবই মধুর হয় যখন সিনেমাটা দর্শকের ভালো লাগে। তাই আমি সিনেমা পরবর্তী অভিজ্ঞতার জন্যই বেশি অপেক্ষা করি।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন তা জানিয়ে এই পরিচালক বলেন, ভালো লেগেছে। স্ক্রিপ্ট রিডিং, ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে শুটিংয়ের শেষ দিন পর্যন্ত তারা সবাই বেশ আন্তরিক ছিলেন। আরিয়ান আরো যোগ করেন, আমাদের জীবনে অসংখ্য ক্রাইসিস, আমরা একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে উনিশ২০ একটা মন ভালো করা এবং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সিনেমা হয়ে উঠুক এটাই আমার প্রত্যাশা। দর্শকের যদি সিনেমাটা ভালো লাগে তাহলে সে যেন তার বন্ধু-পরিবার সবাইকে নিয়ে আবারো সিনেমাটা দেখে এবং অন্যদেরও দেখতে উৎসাহিত করে।