ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল ফেডারেশন ও জেলা-বিভাগীয় সংস্থা দেখভাল হয়। সেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম সচিব কাজী আনিসুর রহমান আজ দুপুরে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৯২ বছর বয়সী আনিসুর রহমান কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। আজ রাজধানীর এক হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি৷ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী হাসপাতাল থেকে জানান, ‘আমাদের সবার প্রিয় আনিস ভাই আর নেই। তিনি কিছুক্ষণ আগে ইন্তোকাল করেন এবং বাদ আসর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’
আনিসুর রহমান স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে তিনি ক্রীড়া পরিষদের সচিবের দায়িত্ব নেন। বর্তমানে এই পদে সরকার যুগ্ম/অতিরিক্ত সচিবরা পদায়ন হয়। আনিসুর রহমান মাত্র এক টাকার সম্মানীতে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুর্ববতন নাম) আহ্বায়ক এবং ১৯৭৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৭৬ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদের (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুর্ববতন নাম) সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
এনএসসি ছাড়ার পর তিনি আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব ও বিভিন্ন ফেডারেশনে ছিলেন। দেশের অন্যতম প্রাচীন ক্লাব আজদা স্পোর্টিংয়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ৷ বাংলাদেশ কাবাডি দলের ম্যানেজারও ছিলেন। একাদশ এশিয়ান গেমস চীনের বেইজিংয়ে স্মৃতি স্মরণ করে কাবাডি দলের সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ আব্দুল জলিল বলেন, ‘আনিস ভাই ঐ টুর্নামেন্টের ম্যানেজার ছিলেন। বাংলাদেশের কাবাডিতেও তাঁর অবদান অনেক।’
ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘদিন অবদান রাখার কারণে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৭ সালে। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির অগ্রজ সম্মাননাও পেয়েছেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব৷ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও রয়েছে তার।