খেলারপত্র ডেস্ক:
অ্যাশেজ সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে পঞ্চম ও শেষে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে জয় কিংবা ড্র হলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় অজিদের। এমন ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংলিশদের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। ম্যাচের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও, আজ দ্বিতীয় দিন শেষে সমান অবস্থানে ইংল্যান্ড। এদিন একাধিক রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। প্রথম কোনো ইংলিশ বোলার হিসেবে অ্যাশেজের ইতিহাসে ১৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন।
এখন পর্যন্ত ৪০টি অ্যাশেজ টেস্টে খেলেছেন ব্রড। যেখানে ২৮.৮১ গড়ে তার ঝুলিতে রয়েছে ১৫১ উইকেট। অ্যাশেজ ইতিহাসে তার সেরা বোলিং ১৫ রানে ৮ উইকেট। যার মধ্যে রয়েছে আবার ছয়বার ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার নজিরও। পাশাপাশি আটবার ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেটও নিয়েছেন ব্রড। তবে সবমিলিয়ে টেস্টে এক ইনিংসে তিনি ২০ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। পাশাপাশি ম্যাচে তিন বার ১০ টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি।
চলমান ম্যাচে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশি লিড নেওয়ার পথেই তারা আগাচ্ছিল। কিন্তু ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে তাদের ইনিংস থামে ২৯৫ রানে, লিড পায় ১২ রানের। ব্রড ২০ ওভারে মাত্র ৪৯ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তিনি ফিরিয়েছেন উসমান খাজা ও ট্র্যাভিস হেড। হেডকে ফিরিয়ে দেড়শ উইকেটের নজির গড়েন এই ইংলিশ পেসার।
কিছুদিন আগে ৬০০ উইকেট পাওয়া ক্লাবে ঢুকেছিলেন ব্রড। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তিনি ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৩৭ বছর বয়সেও একদিনে ২০ ওভার বল করেছেন তিনি। অ্যাশেজের ইতিহাসে ব্রড এই মুহূর্তে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা। তিনি নিয়েছিলেন ১৫৭টি উইকেট। তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ইনিংসে ৩৮ রানে ৮ উইকেট।
তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন। ৩৬টি ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৯৫টি উইকেট। তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ইনিংসে ৭১ রানে আট উইকেট। টেস্টে ব্রড এই মুহূর্তে ১৬৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৬০২টি উইকেট। গড় ২৭.৬৩। চলতি অ্যাশেজে এখন পর্যন্ত ২৭.৬৫ গড়ে ২০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রানে চার উইকেট নেন।