স্টাফ রিপোর্টার:
উৎসবপ্রেমী জাতি হিসেবে পরিচিতি রয়েছে বাঙালির। এদেশে যেকোনো দিবস যথাযথ মর্যাদা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রীতি অনুসারে উদযাপিত হচ্ছে বছরের পর পর। দিবসগুলোয় যেমন বাঙালি নিজেস্ব ঐতিহ্য ফুটে ওঠে, প্রকাশ পায় গৌরবের ইতিহাস। তাই ধর্ম, বর্ণ, শিশু, বয়স্ক নির্বিশেষে এই বাংলার সবাই মিলে উদযাপন করে দিবসগুলো। তেমনি আমাদের ভাষার গৌরবময় ইতিহাস একুশে ফেব্রুয়ারি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর অন্যতম বিনোদন স্থান হাতিরঝিলে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের আগমন ঘটেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে সরকারি ছুটি পাওয়াই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছে। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের অধিকাংশই চাকরিজীবী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ বিকেলে হাতিরঝিলে তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্রিজের আলোতে ছবি তুলছিল অনেকে। আবার অনেকে ছোট-ছোট দলে আড্ডা দিচ্ছিল। লোকসমাগমের কারণে হাতিরঝিলের অস্থায়ী দোকান গুলোতে বিক্রি বেড়েছে।
হাতিরঝিলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন বেসরকারি চাকুরিজিবি মেহেদি হাসান। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় তার। তিনি জানান, মূলত ২১ শে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে পরিবার নিয়ে এখানে এসেছেন তিনি। কথায় কথায় জানালেন সকালে সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়েছিলেন ফুল দিতে। তিনি চান একুশের চেতনা ছোটবেলা থেকেই তাদের মনে তৈরি হোক।
ছোট একটি দলে আড্ডা দিচ্ছিলেন আহসানউল্লাহ বিশ্ব বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। একজনেরর নাম সাকিব জাহান পিয়াস। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ছিল। প্রচুর মানুষ এখানে। আনন্দঘন পরিবেশ। ভালোই লাগছে।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন সরকারি কর্মকর্তা আফসার হোসেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আজ তো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। দিনটি যেমন মর্যাদার, চেতনার, তেমনি ছুটির দিনও। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে হাতিরঝিল লেকমুখর াকে বরাবরই।
মানুষও নগর জীবনের ফাঁকে ক্লান্ত হয়ে এখানে এসে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নেন। ছুটির দিনে লেকের পাশাপাশি ভিড় াকে খাবারের দোকানগুলোতেও।