খেলারপত্র ডেস্ক:
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের ধরন এখন একদমই আলাদা। বাকি দেশগুলোতে এ নিয়ে আলোচনাও বেশ। ওয়ানডেতে অবশ্য খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তাদের ফর্ম। সর্বশেষ ১০ ম্যাচের কেবল দুটিতে জিতেছে তারা, সাত হারের সঙ্গে এক ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ খেলা ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে ৫৯ রানে।
বিপরীতে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে দারুণ করছে অনেকদিন ধরেই। ১০ ম্যাচের সাতটিতেই পেয়েছে জয়ের দেখা। সর্বশেষ ম্যাচে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানে। তবে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশই। ঘরের মাঠেও টাইগাররা শক্তিশালী লম্বা সময় ধরে। এত সব মাথায় রেখে ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজে ফেভারিট কে?
প্রশ্নটি শুনে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মঈন আলী বলছিলেন, ‘ডাজেন্ট রিয়েলি ম্যাটার (বিষয়টা এত গুরুত্বপূর্ণ না) কে ফেভারিট। নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো, আমরা শেষ ১০ ম্যাচে সাতটা হেরেছি কিন্তু আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। লম্বা সময়ে আমরা আমাদের সেরা দলটা পাইনি। কিন্তু এখন মার্ক উড আছে, জফরা আর্চার আছে। উইল জ্যাকসও দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু দিন শেষে কে ফেভারিট ডাজেন্ট রিয়ালি ম্যাটার (তা এতো গুরুত্বপূর্ণ না)।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখে বারবারই ঘুরেফিরে আসছে স্পিন উইকেটের প্রসঙ্গটি। ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ কাজে লাগানোর কথা প্রকাশ্যেই বলেছেন বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এসব মাথায় রাখছেন মঈন আলীও। ইংলিশ অলরাউন্ডার জানেন কেমন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের।
তিনি বলেছেন, ‘আপনি যখন উপমহাদেশে খেলতে আসবেন, এমনটা ভেবেই আসতে হবে যে ভালো স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে। বাংলাদেশ দল হিসেবে খুব ভালো, বিগত কয়েক বছরে দল হিসেবে তারা অনেক উন্নতি করেছে। শুধু স্পিনাররাই না তাদের পেসাররাও মানসম্মত। আমরা আমাদের সেরা প্রস্তুতি নিয়েই খেলতে নামব। নেটে বাঁহাতি স্পিনার ও ডানহাতি অফ স্পিনারদের বিপক্ষে অনুশীলন করেছি, আমরা তাদের শক্তি সম্পর্কে জানি। সেভাবেই প্রস্ততি নিয়েছি।’
এমন উইকেটে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে মঈন বলেছেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, পুরো বিশ্বজুড়েই আমরা এমনটা করে আসছি। তবে এখানে চ্যালেঞ্জটা একটু ভিন্ন, হতে পারে ভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়ে মাঠে নামবো। কিন্তু মানসিকতা একই থাকবে, কেউ বাজে বল দিলে যে কোন উইকেটে অবশ্যই সেটা সবাই কাজে লাগাবে। আমাদের এই মানের খেলোয়াড় আছে।’
‘আমাদের দলে তিনজন স্পিনার আছে। তবে বাংলাদেশ বলে যে শুধু তিনজন স্পিনার এনেছি তা নয়। পেসারদের ক্ষেত্রে আমরা তাদের সবখানে নিয়ে যাই, কারণ তারা গতিময় বোলিং করে। যে কোন উইকেটে ফাস্ট বোলিং দলের জন্য বিলাসিতা। অনেক সময় এমন উইকেটে পেস বোলিং খেলতেও অসুবিধা হয় প্রতিপক্ষের। কারণ ওরা শুধু ফাস্ট বোলার না, খুব ভালো মানের পেস বোলার। এটাই বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।’