কক্সবাজার সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আট লাখ ইয়াবা উদ্ধার মামলায় তিন রোহিঙ্গাসহ চার আসামির ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে নগদ অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দৌলতপুরের মৃত সোবাহান হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী, মিয়ানমারের মংডু আলীটানজু হাসুরাতা এলাকার আবুল বশরের ছেলে হাফিজ উল্লাহ, আকিয়াবের বুচিদং কিতার বিলের বাসিন্দা মৃত নজু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জামিল ও মংডুর নারির বিলের মৃত হোসেনের ছেলে বদি আলম। রায় ঘোষণাকালে আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর টেকনাফ দক্ষিণ লম্বরী ঘাট থেকে আট লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন টেকনাফ অস্থায়ী ক্যাম্পের ডিএডি নাজমুল হুদা। ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনজুরুল হক। ২০১৯ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। তিনি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ১৫ ফেব্রুয়ারি চার আসামির সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অ্যাডভোকেট সাঈদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট মইনুল আমিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।