খেলারপত্র ডেস্ক:
প্রথম লেগে হেরে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়ছেন না কার্লো আনচেলত্তি। ঘরের মাঠে প্রত্যাশিত ফল না মিললেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। ফিরতি লেগে একইরকম খেলতে পারলে কোপা দেল রের শিরোপা লড়াইয়ে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ১-০ গোলে হেরে যায় রিয়াল। ২৬তম মিনিটে আত্নঘাতী গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও। একের পর এক আক্রমণে শাণালেও সুবিধা করতে পারেনি রিয়াল। বার্সেলোনার জমাট রক্ষণে প্রতিহত হয় তাদের সব প্রচেষ্টা। ম্যাচে শাভি এরনান্দেসের দলের বল পায়ে ছিল মাত্র ৩৫.৩ শতাংশ। ক্রীড়ার তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অপ্টা ২০১৩-১৪ মৌসুমে এই রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে কোনো ম্যাচে পজেশন রাখার দিক থেকে এটিই বার্সেলোনার সর্বনিম্ন।
আর গত বছরের শুরু থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে ৫০ শতাংশের কম সময় বল পায়ে রাখতে পারল বার্সেলোনা। তুলনামূলক প্রাধান্য বিস্তার করে খেললেও গোলের সামনে গিয়ে বার বার খেই হারায় রিয়াল। এক দশকের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে কোনো শট রাখতে ব্যর্থ হলো স্পেনের সফলতম ক্লাবটি (তাদের ১৩ শটের সবগুলোই লক্ষ্যভ্রষ্ট)।
আক্রমণভাগের ব্যর্থতা নিয়ে হতাশা থাকলেও পুরো দলের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব অসন্তুষ্ট নন আনচেলত্তি। ম্যাচ শেষে ইতালিয়ান এই কোচ বললেন, স্রেফ ভাগ্যের জোরে জিতে গেছে বার্সেলোনা।
“দল ভালো খেলেছে। বার্সেলোনা এমনভাবে খেলেছে যেন তারা খেলতেই চায়নি। যেকোনো হারই কষ্ট দেয়, কিন্তু দ্বিতীয় লেগেও যদি আমরা এইভাবে খেলি, তাহলে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।”
“আমাদের যেভাবে খেলতে হতো, আমরা সেভাবেই খেলেছি: চাপ দিয়েছি, দৃঢ়তা নিয়ে খেলেছি। আমরা কেবল একটি গোল পাইনি, কিন্তু তারা তো গোলের জন্য কিছুই করেনি। ফিরতি প্রচেষ্টায় সৌভাগ্যবশত তারা গোল পেয়েছে। (ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য) আমাদের হাতে ৯০ মিনিট আছে।”
আগামী ৫ এপ্রিল কাম্প নউয়ে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় লেগে দলের ফিনিশিংয়ে সমস্যাও কেটে যাবে বিশ্বাস আনচেলত্তির। “আমরা ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু পরাজয় আমাদের প্রাপ্য নয়। তবে (পরের লেগে) ৯০ মিনিটে আমরা বার্সেলোনায় (কাম্প নউয়ে) গোল করতে পারব।”