ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ার তেল আমদানিতে আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং মূসক বা ভ্যাট হ্রাস করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সয়াবিন ও পাম তেলের অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আর ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ারের অব্যাহতির মেয়াদও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অব্যাহতির মেয়াদ বাড়িয়েছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ বিষয়ে মো. আল-আমিন শেখ বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে ভোজ্যতেল বিশেষ করে সয়াবিন ও পাম তেলে অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এই দুইটি ভোজ্যতেল আমদানিতে অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়। সেজন্য এই দুইটি তেলের ওপর অব্যাহতির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল আমদানিতে বিদ্যমান আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ের মূসক ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসব ভোজ্যতেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতীত অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট রইলো না।
এর আগে সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ককর অব্যাহতির মেয়াদ ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে পবিত্র রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোজ্যতেলের শুল্ক-কর অব্যাহতি দেওয়ায় এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা হ্রাস পাবে। এনবিআরের নেওয়া এসব ব্যবস্থার ফলে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে এনবিআর আশা করে।