খেলারপত্র ডেস্ক:
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট মানেই সীমাহীন অর্থের মহোৎসব। বিজ্ঞাপন, অর্থের ছড়াছড়ি ও আলোর ঝলকানি এসব টুর্নামেন্টকে দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এক্ষেত্রে ধরাছোঁয়ার বাইরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচ না জিতলেও ফ্র্যাঞ্চাইটি দলগুলো এখানে অঢেল অর্থ আয় করার সুযোগ রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার অনেক খাত রয়েছে আয়োজক সংস্থা ও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের। এবারের আইপিএলেও তেমনি মুনাফা কুড়ানো শুরু করেছে বিসিসিআই।
ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির ১৬তম আসর চলছে এবার। এখন পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডে আইপিএলের ৫৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনাল ম্যাচসহ এবারের আসরে সর্বমোট ম্যাচ রয়েছে ৭৪টি। সে হিসেবে বলতে গেলে বর্তমানে আসরটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ম্যাচ শেষ। তবে পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচগুলোতে উন্মাদনা ও আয়োজন আরও জমজমাট হয়ে উঠতে পারে। যা চলবে আসরের শিরোপা নির্ধারণের আগপর্যন্ত।
নিঃসন্দেহে বিশ্ব ক্রিকেটের ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আইপিএলের হাত ধরে বিসিসিআইয়ের প্রায় প্রতি বছরই মুনাফা ছাড়িয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। তবে চলতি বছরের আইপিএলের মধ্যে দিয়ে অন্য এক উপায়েও বিসিসিআই ছাড়িয়ে গেল এক কোটি টাকা। স্লো ওভার রেটের কারণে চলতি আইপিএলে বিভিন্ন দলের অধিনায়কসহ ফ্র্যাঞ্চাইজির বাকি ক্রিকেটারদের থেকে জরিমানা বাবদ বিসিসিআই এই বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করেছে।
গত সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচ পর্যন্ত এই খাতে ভারতীয় বোর্ডের আয় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা (১ কোটি ৮ লাখ রুপি)। এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস।
স্লো ওভার রেটের কারণে কেকেআরের অধিনায়ক নীতিশ রানাকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। তবে এই দোষে রানা একাই দুষ্ট নন, দিল্লি অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া, লখনৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল, মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ইতোমধ্যে একই কারণে ১২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন যৌথভাবে আরসিবির অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি এবং বিরাট কোহলি। দু’জনকে এখন পর্যন্ত ৩৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অর্থাৎ বাকিরা একটি ম্যাচে জরিমানার শিকার হলেও কোহলি-প্লেসিকে জরিমানা করা হয়েছে তিনটি ম্যাচে।
মূলত আইপিএলের কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার দায়ে অধিনায়কদের এই জরিমানা দিতে হয়েছে। যা ইতোমধ্যেই জমা হয়েছে বিসিসিআইয়ের অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত ২০ ওভার বোলিং করতে একটি দলের হাতে থাকে ৯০ মিনিট। এরমধ্যে ধরা থাকে স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের আড়াই মিনিট। তবে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত, দল বা আম্পায়ারদের রিভিউতে যে সময় নষ্ট হবে তা এতে ধরা হয় না। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ করতে না পারলে, ম্যাচপ্রতি ১২ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হবেন অধিনায়করা।