শাহীন রেজা , দৌলতপুর, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সংবাদকর্মী শরীফ বিশ্বাস, এসআই সুমন ও বিদ্যুৎ খন্দকারের ওপর ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সকালে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসি সভাপতি আব্দুল আলীম সাচ্চুর সভাপতিত্বে দৌলতপুর থানার সামনে দু' ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও কুষ্টিয়া ও দৌলতপুরে হামলা-মামলার শিকার সকল সাংবাদিকের পক্ষে সুবিচার চেয়ে দাবি তোলা হয় মানববন্ধনে।
এতে অংশ নেয় দৌলতপুর প্রেসক্লাব, দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসি, আল্লারদর্গা প্রেসক্লাব এবং দৌলতপুর সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংবাদকর্মীরা।
এসময় মানববন্ধনে প্রতিবাদ বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসি সভাপতি আব্দুল আলীম সাচ্চুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এটিএন নিউজের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম, দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আহসানুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন জোহানী তুহিন, আল্লারদর্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক জনকণ্ঠের দৌলতপুর প্রতিনিধি সাঈদুল আনাম। আরও বক্তব্য রাখেন, ডিপিসি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, দৌলতপুর প্রেসক্লাবের অন্যতম সংগঠক আহাদ আলী নয়ন এবং শাহীন রেজা প্রমুখ।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন দৌলতপুর সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক মাছরাঙা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্চয়।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজের বাবার নাম গোপন করে মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে চাকরি করছেন এমন অভিযোগে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে হামলার শিকার হন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ও দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক, সাংবাদিক সংগঠক শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরা পার্সন এসআই সুমন এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি খন্দকার বিদ্যুৎ। এ ঘটনায় জেলা জুড়ে নানা আন্দোলন কর্মসূচি করছে সাংবাদিকেরা।
এঘটনায় ওইদিন রাতেই দৌলতপুর থানায় শরীফ বিশ্বাস বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখনও পর্যন্ত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।