অর্থনীতি ও বাণিজ্য ডেস্ক:
চীন ও রাশিয়ার মধ্যে গত বছর অ্যালুমিনিয়াম বাণিজ্য রেকর্ড স্পর্শ করেছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোয় রাশিয়ার ব্যবসা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটি চীনে ধাতব ও জ্বালানি পণ্য বিক্রি বাড়াচ্ছে। প্রচলিত দামের চেয়ে কমেই চীনের কাছে এসব পণ্য বিক্রি করছে রাশিয়া। এ সুযোগকে ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে বেইজিং। বিষয়টিকেই দুই দেশের মধ্যে রেকর্ড অ্যালুমিনিয়াম বাণিজ্যের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্লাটস।
গত বছর চীনের অ্যালুমিনিয়াম আমদানি লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। কিন্তু রাশিয়া থেকে আমদানির গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে বছরের শেষার্ধে আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় চীনের অ্যালুমিনা রফতানিতেও এসেছে প্রবৃদ্ধি।
চীনের শুল্ক বিভাগের দেয়া তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশটি মোট ৫ লাখ ৪০ হাজার ৪০৯ টন প্রাইমারি অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করে। ২০২১ সালের তুলনায় আমদানি কমেছে ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে বছরের শেষ মাসে আমদানি এক মাসের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং এক বছরের ব্যবধানে ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৪৬ টনে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকেই আমদানি করা হয়েছে ৮২ হাজার ৮৩৩ টন, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি এবং দেশটির মোট আমদানির প্রায় ৬৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এদিকে গত বছর চীন অ্যালুমিনা রফতানি এর আগের বছরের তুলনায় ৭৪১ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ টনে। বছরের শেষ মাসেই রফতানি করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৩৪৯ টন। অথচ ২০২১ সালের একই সময় রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩ হাজার ৯৬৯ টন। রাশিয়ায় বিপুুল পরিমাণ অ্যালুমিনা রফতানি এমন প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
ডিসেম্বরে রাশিয়ায় ৫১ হাজার ৭৮১ টন অ্যালুমিনা রফতানি করেছে চীন। এক মাসের ব্যবধানে দেশটিতে রফতানি ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। মোট অ্যালুমিনা রফতানির ৯০ দশমিক ৩ শতাংশই সরবরাহ করা হয়েছে রাশিয়ায়।
চীন গত বছরের শেষ মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৯৩ টন অ্যালুমিনা আমদানি করেছে। এক মাসের ব্যবধানে আমদানি ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং এক বছরের ব্যবধানে ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। চীনে সবচেয়ে বেশি অ্যালুমিনা সরবরাহ করে অস্ট্রেলিয়া। ডিসেম্বরে দেশটি থেকে আমদানি ১২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৬৪ হাজার টনে নেমেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি ৬৭ শতাংশ কমে ২৯ হাজার ৭৭০ টনে ঠেকেছে।