ডেস্ক রিপোর্ট:
চায়ের সঙ্গে ঝটপট নাস্তা হিসেবে এক প্যাকেট বিস্কুট হলেই যথেষ্ট অনেকের জন্য। কিন্তু চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া উপকারী নয় বলে দাবী করা হয়। আসলেই কি তাই? আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে অর্থাৎ নিয়মিত চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন তবে এর সত্যতা জেনে রাখা জরুরি। কারণ আমাদের দেশে প্রায় সব বয়সী মানুষেরই এই দুই খাবার একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস আছে।
স্বনামধন্য পুষ্টিবিদ অমিতা গাদ্রে তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিস্কুটের স্বাস্থ্যকর দাবী করাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। চায়ের সঙ্গে বিস্কুটের বদলে স্বাস্থ্যকর কী খাওয়া যেতে পারে, সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পুষ্টিবিদ অমিতা গাদ্রে বলেছেন যে বিস্কুট যদিও চায়ের সঙ্গে নাস্তা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়, তবে মানুষ যতটা ভাবেন ততটা স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ জেনে নিন-
১. খুবই কম পুষ্টি
বেশিরভাগ বিস্কুটে ফ্যাট এবং মিহি ময়দা বেশি থাকে, সামান্য থাকে অথবা কোনো ফাইবার থাকে না। এর অর্থ হলো বিস্কুট খেলে কেবলমাত্র ক্যালোরি পাওয়া যায়। যার অর্থ প্রোটিন, ভিটামিন বা খনিজের মতো ন্যূনতম পুষ্টিও মেলে না এই খাবার থেকে।
২. সব বিস্কুট সমানভাবে তৈরি হয় না
ফ্যাটমুক্ত, চিনিমুক্ত, ময়দামুক্ত, বা ডায়াবেটিস-বান্ধব হওয়ার দাবি সত্ত্বেও, এই বিশেষায়িত বিস্কুটগুলো বেশিরভাগই সময়েই কেবল ক্যালোরি ছাড়া কিছুই সরবরাহ করে না। তাই বিস্কুটের বিজ্ঞাপন দেখে ভুলবেন না। বরং ভালো করে জেনে তবেই খান।
কম পুষ্টিকর খাবার আমাদের শরীরকে কীভাবে প্রভাবিত করে?
গাদ্রের মতে, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মানে আপনার শরীরের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে রাস্ক, খারি, নানখাতাই এবং জিরা বিস্কুট সহ বেশিরভাগ বিস্কুট মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়, যার মধ্যে ফাইবারের অভাব থাকে। অপর্যাপ্ত ফাইবার শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যন্যের কারণ হতে পারে।
যেহেতু চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয় তাহলে এর সঙ্গে কী খাবেন? ক্ষুধার্ত না হলে চায়ের সঙ্গে কিছুই না খাওয়ার পরামর্শ দেন গাদ্রে। তবে আপনার যদি নাস্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। যেমন সবজি রোল ভেজিটেবল রোল বা এক টুকরো ফল। তবে সবচেয়ে ভালো হয় চা খাওয়ার পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর কিছু খাওয়া। কারণ এর অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট শরীরে আয়রন শোষণকে প্রভাবিত করতে পারে।