
ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে বড় ব্যবধানেই হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে হলুদ জার্সিধারীদের উপস্থিতি ও মাঠের পারফরম্যান্সে যেন কলকাতাকে ঘর বানিয়ে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচের ফলও তাই স্বাগতিকদের বিপক্ষে গেছে। এ নিয়ে চলমান আইপিএলে টানা চার ম্যাচে হেরে টেবিলের তলানিতে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় ভুগছে লিটন দাসের কলকাতা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নীতিশ রানা নিজেদের দুর্বলতা স্বীকার করে নিয়েছেন।
এদিন লিটন দাসকে বসিয়ে রেখে একাদশ সাজায় কেকেআর। একজন বাড়তি বোলার নিয়ে সেটি কোনই কাজে লাগেনি দলটির। উল্টো চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের সামনে তাদের ‘শ্যাম রাখি না কূল রাখি’ অবস্থা হয়ে পড়ে। ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৩৫ রানের বড় সংগ্রহ করে চেন্নাই। যা চলতি আইপিএলের এক ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান। পরবর্তীতে কেকেআর কিছুটা লড়াই চালালেও তাদের দৌড় থামে ১৮৬ রানে। টানা চতুর্থ ম্যাচে তারা ৪৯ রানে হেরেছে।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ দর্শাতে গিয়ে একবার বোলারদের নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন, তো পরক্ষণেই ব্যাটসম্যানদের দিকে তোপ দাগেন রানা। স্পষ্ট বোঝা যায় যে টানা চার ম্যাচে হেরে ভেঙে গিয়েছে কেকেআরের মনোবল। প্রথমত, পিচ যত ভালোই হোক না কেন, ২০ ওভারে ২৩৫ রান খরচ করা মেনে নেওয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেন নীতিশ। পরে ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার প্লে-তে রান তুলতে না পরার ফলেই যে তাদের হারতে হয়েছে, এমনটাও তিনি দাবি করেন।
রানা বলেন, ‘এই হার হজম করা মুশকিল। এত ভালো দলের বিপক্ষে এই পিচে ২৩৬ রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন। বিশেষ করে যখন আমরা পাওয়ার প্লে-তে ভালো খেলতে পারিনি, তখন এত রান তাড়া করা আরও মুশকিল। এত রান তাড়া করতে নামলে পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগাতে হয়। প্রথম ৬ ওভারে পর্যাপ্ত রান না তুলতে পারলে, সবসময় খেলায় পিছিয়ে থাকতে হবে।’
তবে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের জন্য রাহানেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন কেকেআর অধিনায়ক, ‘রাহানেকে কৃতিত্ব দিতে হবে। আজ সে যেমন ব্যাট করেছে, একেবারে নিজের ইচ্ছেমতো টেনে নিয়ে গেছে ম্যাচ। তবে যেমন পিচই হোক না কেন, ২০ ওভারে ২৩৫ রান খরচে বিষয়টি মেনে নেওয়া কঠিন।’
বারবার একই ভুলের কারণেই টানা হারার পেছনে ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন রানা, ‘অবশ্যই কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। আগেও যতগুলো ম্যাচ খেলেছি, সে সময়ও কিছু ইতিবাচক দিক ছিল। তবে যেসব জায়গায় আমাদের দুর্বলতা রয়েছে, সেই জায়গাগুলোয় আমরা উন্নতি করতে পারিনি। আমার ধারণা বড় টুর্নামেন্টে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে থাকলে, সবসময় ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হবে।’
কেকেআরের বিপক্ষে ২৪৪ স্ট্রাইকরেটে অজিঙ্কা রাহানে মাত্র ২৯ বলে ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া ডেভন কনওয়ে ৪০ বলে ৫৬ রান এবং শিভাম দুবে করেছেন ২১ বলে ৫০ রান। মাত্র এক ম্যাচে নামিয়েই চেন্নাইয়ের বিপক্ষের একাদশে লিটনকে বাইরে রাখে কলকাতা। এর আগে নিজের অভিষেক ম্যাচে ব্যাটিং ও উইকেটকিপিংয়ে তিনি ভালো পারফর্ম করতে পারেননি।