রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। আগামীতে বিদ্যুৎচালিত ট্রেনও যোগ হবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেল সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনার আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেল সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং চকলেট বিতরণ করেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আগামী বছর জুনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেললাইনও জুনে চালু হয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের মিটার গেজ রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ নভেম্বর রেলওয়ের জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৮৬২ সালের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে ট্রেন চালু করেছিল। একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরি। একসময় রেল অবহেলিত ছিল, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেওয়ার পর রেলওয়ের উন্নতি হচ্ছে। বর্তমানে রেলের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-টঙ্গীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন, টঙ্গী জয়দেবপুরের মধ্যে দ্বিতীয় রেল লাইন নির্মিত হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ডাবল লাইন নির্মিত হচ্ছে। এটি নির্মিত হলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলসেবা চালু হয়ে যাবে।
যাত্রীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, রেলের সম্পদ জনগণের। যাত্রীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্য থেকে যাত্রীদের সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আকন্দ প্রমুখ।