দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
রমজান মাসকে চলমান রেখে তরমুজের দাম নাগালের বাইরে। বিপাকে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণ মানুষকে। গতকাল সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বরিশালের ভোলা ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় তরমুজের ফলন এবার বেশ ভালো। রোজার চাহিদাকে মাথায় রেখে কৃষকরা এই তরমুজ ফলিয়েছেন। তরমুজ আমাদের দেশি ফল। বিশেষ করে বরিশাল অঞ্চল পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠিতে প্রচুর হয়। সাম্প্রতিক সময়ে খুলনার কয়রাসহ দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের ভালো ফলন হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও তরমুজের আবাদ হচ্ছে। দেশের বাজারে তরমুজ কৃষকেরা উৎপাদন করে। এরপর পাইকাররা তা কিনে প্রধানত ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার-মোকামে নিয়ে যায়। কখনো কখনো বড় কৃষকেরা সরাসরি ট্রাক ভাড়া করে শহরে কিংবা গ্রামে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে আনেন। তাঁদের কাছ থেকেই তরমুজ কেনেন সাধারণ ক্রেতারা।
এখন বাজারে যে তরমুজগুলো দেখা যাচ্ছে, তা আকারে ছোট, বড় প্রায় ৫ থেকে ১০ কেজির মধ্যে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, এসব তরমুজের বেশির ভাগই অপরিপক্ব। এখনকার তরমুজগুলো কিছু কাটার পর ভেতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরিভাবে।
দৌলতপুরে তারাগুনিয়ায় তরমুজের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, সেখান কেজি ও মণে বিক্রি করা হচ্ছে এই দেশীও ফল। একটি তরমুজের ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি কারোর সাধ্য হচ্ছে তরমুজ কেনার। আবারো কারর সাধ্য হচ্ছে না কেনা। তরমুজ খাওয়ার জন্য মন চাইলে মনকে থামিয়ে রাখতে হচ্ছে। আজ যারা চাকুরিজীবী তারা একটি-দুটি তরমুজ কিনে খেতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছে।
ক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের আবদার দুই তিন বছর আগে পিস হিসেবে বিক্রি করা হত। তরমুজ আবার আগের মত স্বাভাবিক দাম ও পিস হিসেবে দেখতে চান তারা।