ডেস্ক রিপোর্ট:
দেশের মানুষের আয় রোজগার বাড়লে দারিদ্রতা ও বৈষম্য কমবে। তাই মানুষের উপার্জনের সক্ষমতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামে- ইআরডিএফবির উদ্যোগে আয়োজিত উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, যদি আয় রোজগার বাড়াতে হয় তাহলে শিল্পায়ন বাড়াতে হবে। আর শিল্পায়ন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে, মানুষের আয় রোজগার বাড়বে। আমার গবেষণায় দেখেছি, জিডিপির গ্রোথ যদি ১০ শতাংশ হয়, আর পপুলেশন গ্রোথ যদি ১ শতাংশ হয় তাহলে জাতীয় আয় প্রতি ৭ বছর পর পর দ্বিগুণ হয়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমাদের এগোতে হবে। তাহলেই অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারব।
ইআরডিএফবিএর সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে করোনা মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারীশিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে বিধবা, প্রতিবন্ধী স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা সরকারের।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সেলিনা হোসেন, ইআরডিএফবিএর সিনিয়র সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান।