Date: November 21, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / বিনোদন / ‘নাগিন’গানে নেচেছিলাম জামিনের খবরে কারাগারে : রিয়া

‘নাগিন’গানে নেচেছিলাম জামিনের খবরে কারাগারে : রিয়া

January 15, 2024 11:28:28 AM   বিনোদন প্রতিবেদক
‘নাগিন’গানে নেচেছিলাম জামিনের খবরে কারাগারে : রিয়া

বিনোদন প্রতিবেদক:


বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। এরপর প্রায় একমাস কারাগারে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা জানিয়েছেন, কীভাবে কারাগারের দিনগুলো পার করেছিলেন। রিয়া বলেন, ‘কারাগারে পাঠানোর পর কোভিডের কারণে আমাকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হয়েছিল। একটি রুমে আমি একা ছিলাম। কেবল খাবারের সময় জিজ্ঞেস করা হতো, খাবো কিনা। আমি খুব ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত থাকতাম; ফলে তারা যা দিতো, তাই খেয়ে নিতাম। খাবারে কেবল রুটি আর ক্যাপসিকামের সবজি দিতো। সবজি বলতে শুধু পানির মধ্যে ক্যাপসিকাম; কিন্তু স্বাদ নিয়ে তখন ভাবিনি।’

অন্য কয়েদিদের দেখে নিজেকে শান্তনা দিতেন জানিয়ে রিয়া বলেন, ‘অন্যান্য কয়েদিকে দেখে নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম। কারও পরিবারের সমর্থন নেই, কারও কাছে ৫-১০ হাজার রুপিও নেই জামিনের জন্য। সেই জায়গায়, আমার পরিবার ও বন্ধুরা আমার পাশে ছিল। নিজেকে বলতাম, তুমি ন্যয় বিচার পাবে, জামিন পাবে। কারণ তুমি কোনও অন্যায় করোনি। ওখানকার নারীদের দেখে অনেক কিছু শিখেছি। যেটা আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ে অযথা চিন্তা করে কী লাভ!’

রিয়া জানালেন, কারাগারে অন্যতম কঠিন বিষয় ছিল টয়লেট। নায়িকার ভাষায়, ‘যেখানে ঘুমানোর জায়গা, সেটার পাশেই টয়লেট। অবশ্যই এটা ভালো কিছু নয়। কারাগারের অন্যতম কঠিন দিক এটা। আর কারাগারে শারীরিক যন্ত্রণার চেয়ে মানসিক যন্ত্রণাই বেশি।’

এমন দুঃসহ দিন কাটানোর পর যখন জামিন পেয়েছিলেন, কেমন লেগেছিল? এ প্রশ্নের জবাবে রিয়া বললেন, ‘আমি ওখানকার সব নারীকে বলেছিলাম, যেদিন জামিন পাবো, সেদিন তাদের জন্য আমি নাচবো। এরপর জামিনের খবরে ‘নাগিন’ গানের তালে নেচেছিলাম। তারা সবাইও আমার সঙ্গে নেচেছিল। আমার ঘরে ফেরা দেখে তারা অনেক খুশি ছিল।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুন নিজ ফ্ল্যাট থেকে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রিয়ার। এরপর  রিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় এবং মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে তাকে ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রায় এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পান তিনি। তবে তার ভাই জামিন পায় তিন মাস পর।