ডেস্ক রিপোর্ট:
নদী খনন ও পলি অপসারণে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্বাধীন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তদন্ত কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং নৌখাতের উন্নয়নে কাজ করা নাগরিক সংগঠন, নৌযান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার ১৩ জন নাগরিক সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান। নদী রক্ষাসহ নৌখাতের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমালোচিত করতে মেগা প্রকল্পগুলো পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ করা হচ্ছে বলে জোরালো অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।
অন্যদিকে, নদী খনন ও পলি অপসারণের দায়িত্বে নিয়োজিত ড্রেজিং বিভাগের ক্ষমতাধর প্রকৌশলীরাসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হচ্ছেন। বিবৃতিতে জনগণের অর্থ লুণ্ঠনকারী এসব দুর্নীতিবাজকে চিহ্নিত, তাদের দুর্নীতির তথ্য ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে ১৩ বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, অবিলম্বে দাবি মানা না হলে বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রকল্পভিত্তিক গণশুনানি গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। এরপর দুর্নীতিবাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নাম ও পরিচয়সহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, শিশুসংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন-উর রশীদ, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, জ্যেষ্ঠ নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম ও আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ।