ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ ষোলোর ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে শুরুতেই বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ৪-১ এর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেইমারের দল। জয় ছাপিয়ে এ ম্যাচে অবশ্য আলোচনায় নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের সেই নাচ। অনেকে তুলেন ঘোর আপত্তি। আয়ারল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেয়ের কিংবদন্তি রয় কিন বলেছিলেন, নেইমারদের নাচ প্রতিপক্ষের জন্য অসম্মানজনক। তবে ক্রোয়েশিয়া ডিফেন্ডারের অবশ্য কোনো আপত্তি নেই এই নাচে।
কাতার বিশ্বকাপে শুক্রবার রাত ৯টায় কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ব্রাজিল। গতকাল বুধবার ক্রোয়েশিয়ার সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন। সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের নাচ নিয়ে কথা বলেছেন লভরেন। নিজের ক্লাব জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গে ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ রয়েছে লভরেনের।
সে কারণেই লভরেন মনে করেন, নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের নাচ প্রতিপক্ষের প্রতি মোটেও অসম্মানজনক নয়। তিনি বলেন, ‘ওদের নাচতে দিন। আমি এর মধ্যে অসম্মানের কিছু দেখি না। ব্রাজিলিয়ানরা গানে জন্মায়, গানে বাঁচে। তাদের জীবনযাপন নিয়ে আমার ধারনা আছে। এর মধ্যে ভুল কিছু দেখি না।'
অবশ্য গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিলের নাচকে নিয়ে করা সমালোচনার জবাব দেন দলটির উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস। এই তারকা বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষকে অসম্মান করতে নয়, আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই গোলের পর নেচেছে ব্রাজিল দল। এটা ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির অংশ। আর গোল উদ্যাপনে এই নাচ থামাবে না ব্রাজিল দল।’
নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৪–১ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধেই ৪ গোল তুলে নেওয়ার পথে প্রতিটি গোলেই নেচেছেন নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা। তারপরই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে রয় কিন বলেছেন, ‘সত্যিই দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। জীবনে মাঠে এত নাচ দেখিনি। মনে হচ্ছিল ডান্স শো “স্ট্রিকলি কাম ড্যান্সিং” দেখছি। আমি জানি এটা ওদের সংস্কৃতির অংশ। তবে প্রতিপক্ষের প্রতি এটা সত্যিই অসম্মানজনক।’
দোহায় সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ভিনিসিয়ুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে ব্রাজিল তারকা বলেন, ‘হ্যাঁ, অন্যের সুখ দেখে কেউ কেউ অভিযোগ তুলবেই। আমরা ব্রাজিলিয়ানরা আনন্দ করতে ভালোবাসি, মজা করতে পছন্দ করি। ফুটবলে গোল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বকাপে তো আরও বেশি। ওই মুহূর্তটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, দেশের মানুষের জন্যও উৎসবের উপলক্ষ্য। এখনো আরও অনেক উদ্যাপন বাকি আছে আমাদের। তাই ভালো খেলা প্রয়োজন, থাকতে হবে ফুরফুরে মেজাজে।’