ডেস্ক রিপোর্ট:
ময়মনসিংহের ১১ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটের হার ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে। আসনটিতে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৫ জন। নৌকার প্রার্থী ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল একাই পেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. আবুল হোসেন দীপু পান ৭ হাজার ৫১৩ ভোট। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট কায়সার আহাম্মদ ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ২৫০টি। তবে এখানে কারচুপি, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে নৌকার প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা ভোট শুরুর পরপরই বর্জনের ঘোষণা দেন।
এবার এ আসনে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন ও কায়সার আহাম্মদ। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেন দীপু বলেন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থী ফাহমী গোলন্দাজের পক্ষ নিয়ে এ আসনে ভোট জালিয়াতির নির্বাচন করেন। নির্বাচনের দিন আমার সকল এজেন্টকে বের করে দিয়ে নৌকার সমর্থকরা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সহযোগিতায় তাদের ইচ্ছামতো সিল মেরেছে। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভোটগ্রহণের দুই ঘণ্টা পরই বর্জনের ঘোষণা দেই।
একই ধরনের অভিযোগ করে ঈগল প্রতীকের আরেক প্রার্থী কায়সার আহাম্মদ বলেন, অস্ত্র দেখিয়ে আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় নৌকার সমর্থকরা। কিছু কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মেরে রাখা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। নৌকার লোকজন কেন্দ্র দখল করে অনবরত সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরেছে। আমরা এই ভোট বাতিল করে পুনরায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই।