তিনি এ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন বিকেলে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
আর তাই মিঠামইন উপজেলা সেজেছে নবরূপে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মিঠামইন উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নামে ছোট-বড় ব্যানার ও ফেস্টুনে সরকারের উন্নয়নের চিত্র শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার দুই পাশে টাঙানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে মিঠামইনসহ পুরো হাওর অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
হাওরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য এই প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশ তথা জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। আর জনসভার মঞ্চটি করা হয়েছে নৌকার আদলে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনে কিশোরগঞ্জ শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেয়ালে রঙ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেছেন।
এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে করিমগঞ্জের বালিখোলা পর্যন্ত সড়কে তোরণ নির্মাণ, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেশি যাবেন।
এছাড়াও অন্যান্য উপজেলা থেকে অনেক নেতাকর্মী যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে এমনটাই আশা করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের হাওরবাসীর আর কোনো চাওয়া নেই। হাওরের উন্নয়নে তিনি সব করে দিয়েছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলায় নিজ বাড়িতে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে মিঠামইন হেলিপ্যাডে নামেন।
এসময় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেখান থেকে নিজ বাসভবনে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের সফরে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে এসেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি হাওরের নিজ উপজেলা মিঠামইন ছাড়াও করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সফর করবেন।
রাষ্ট্রপতির পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেহমান হয়ে রাষ্ট্রপতির কামালপুরের বাড়ি আসবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকবে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মেন্যুতে হাওরের মাছ ও অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির থাকবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠামইনে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।