ডেস্ক রিপোর্ট:
ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। আজ(১৯ জুলাই) ফেনী মডেল থানার এসআই হায়াত উল্লাহ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইন ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মামলা দুটি দায়ের করেন।
উভয় মামলায় ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষস্থানীয় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে দেড় থেকে ২ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও ট্রাংক রোডে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা পুলিশ ও পথচারীদের গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা ও গুলি চালিয়েছে। আবার এখন মামলাও হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। এসব করে এ সরকারের ক্ষমতা আর ধরে রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোডের দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের জিরোপয়েন্টে এলে পুলিশ শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। পরে পদযাত্রাটি ওই সড়কের ইসলামপুর রোড়ের মাথায় পৌঁছালে পুলিশের আরেকটি দল মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এতে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ বিএনপির ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সময় ইটপাটকেল ও গুলির বিকট শব্দে পুরো শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে থামিয়ে দেয়। ঘটনার পর বিএনপি দাবি করছে সংঘর্ষে তাদের দু’শোর বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।