বগুড়ার শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ৯ নেতার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি এ নোটিশ পাঠান।
সাত দিনের মধ্যে নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ওই ৯ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান ববি।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন- শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, শাহজামাল সিরাজী, মোকারিম হোসেন রবি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা দেবতোষ চক্রবর্তী লিটন, আব্দুল হামিদ ও জাকির হোসেন।
বগুড়া জজ কোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট লিয়াকত সরদারের মাধ্যমে পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়, ২৯ এপ্রিল অভিযুক্তরা বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ওইসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি তার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি ব্যবসায়িকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবমিলে তার দুই কোটি টাকা ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে উকিল নোটিশে দাবি করা হয়।
নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা। কারণিএর আগে সংবাদ সম্মেলন করে বদরুল ইসলাম পোদ্দার ববি যে ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তাতে মানহানির মামলা তো তার বিরুদ্ধেই করা হবে। এছাড়া তিনিসহ কতিপয় ব্যক্তি একটি মহলের ইন্ধনে দলীয় শৃঙ্খলা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।