পাটগ্রাম প্রতিনিধি:
তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনস্থ বুড়িমারী বিওপি’র টহলদল কর্তৃক বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ভারতীয় মালামাল আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রংপুর ৬১-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এএম মাহবুবুল আলম খান জানান, সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় টায় তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বুড়িমারী বিওপির সুবেদার মোঃ বাইরোন আলী এর নেতৃত্বে সীমান্ত পিলার ৮৪২/১-এস হতে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িমারী বাসস্ট্যান্ড হতে চোরাচালান প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ১টি ভারতীয় ট্রাক জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ১১ ঘটিকায় নায়েব সুবেদার মোঃ একরামুল হক এর নেতৃত্বে সীমান্ত পিলার ৮৪২/১-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িমারী কলাবাগান নামক স্থানে চোরাচালান প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ২টি ভারতীয় ট্রাক জব্দ করা হয়। উক্ত ৩টি ট্রাক তল্লাশী করে অবৈধ ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের শাড়ী, থ্রীপিস, আন্ডার গার্মেন্টস, চশমা এবং কেমিক্যাল দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। জব্দকৃত মালামালের সিজার মূল্য ৩ কোটি ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, যা পাটগ্রাম কাস্টমস এ জমা করা হয়েছে।
বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি সত্য, তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াসউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে গেলেও অফিসে পাওয়া যায়নি।
সিএনএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু সাইদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এর দ্বায় এড়াতে পারে না।
শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সফর উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্ধারিত শ্রমিক দিয়ে মালমাল খালাস না করে বরং উনাদের নিজস্ব লোক দিয়ে মালামাল খালাস করেন। এতে করে ৪টি লাগেজ ভুট্টাক্ষেতে হারিয়ে যায় বলে খবর পেয়েছি।