বিশেষ প্রতিনিধি:
শুরু হয়েছে বন এবং আদিবাসী বিষয়ক সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড)-এর তিনদিনব্যাপী কর্মশালা। ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত শান্তিবাগস্থ কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেড'র পরিচালক ফিলিপ গাইন কর্মশালাটি সমন্বয় করেন এবং তাকে সহায়তা করেন সেড'র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা রবিউল্লাহ রুবেল।
জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম, শালবন এলাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে যে নজিরবিহীন বনবিনাশ হয়েছে, তার ওপর আলোকপাত করে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালারয় বনবিনাশের প্রভাব, সনাতনী ভূমি অধিকারের ক্ষতি, এবং বনবিনাশে ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশি ও বিদেশি আইন এবং সনদ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বনাঞ্চলে বাসকারী জনগোষ্ঠীর পরিবেশবান্ধব চর্চা এবং উদ্ভাবনগুলোকে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
কর্মশালার বক্তারা বলেন, বনবিনাশের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আদিবাসী এবং বনাঞ্চলে বসবাসকারী বাঙালিসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠী। তারা তাদের সনাতনী ভূমির অধিকার হারিয়েছেন, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং শালবন এলাকায়। বনবিনাশ ও বনায়ন অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ বন বিভাগ এবং মন্ত্রণালয় বনবিনাশ ও বনায়ন নিয়ে বিদেশী অর্থায়নে গবেষণা চালালেও এসব গবেষণার রিপোর্টে বনাঞ্চলের বাসিন্দাদের অনুভূতি বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উল্লেখিত নয়। এছাড়া, এই রিপোর্টগুলো বনে বসবাসকারী গোষ্ঠীর কাছেও পৌঁছায় না বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।