খেলারপত্র ডেস্ক:
জাতীয় দলে অভিষেকের পর অল্প সময়ে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের মূল ভরসা হয়ে ওঠেন মুস্তাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে বেশ কিছুদিন হলো ফর্মহীনতায় ভুগছেন বাঁহাতি পেসার। যে কারণে দলে তার জায়গা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে তার বোলিং নিয়ে দুর্ভাবনার কিছু দেখেন না রঙ্গনা হেরাথ। বরং দলের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজটি করা মুস্তাফিজকে নিয়ে সন্তুষ্টির কথাই বললেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রোববার সকালে ঐচ্ছিক অনুশীলন করে বাংলাদেশ। এর মধ্যেও অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে বাড়তি কাজ করতে দেখা গেছে মুস্তাফিজকে। বাঁহাতি পেসারের স্পট বোলিং কাছ থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন পেস বোলিং কোচ। পরে দুজন মিলে মাঠে বসেই কথা বলেন লম্বা সময়।
সবশেষ ১৫ ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের শিকার ১১ উইকেট। প্রতি উইকেটের জন্য তাকে করতে হয়েছে ৬২টির বেশি ডেলিভারি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে বাদ দিলে দাঁড়ায় ১১ ম্যাচে স্রেফ ৫ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে উইকেট পাননি তিনটিতে।
উইকেট শিকারে এমন নিষ্প্রভতার কারণেই হয়তো ডোনাল্ডের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করেন মুস্তাফিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর প্রশ্ন ওঠে দলে তার জায়গা নিয়ে। তখন বাঁহাতি পেসারের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজ উইকেট না পেলেও রান ঠেকিয়ে রাখার কাজ ভালোভাবেই করছেন বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
একই প্রসঙ্গ এলো তৃতীয় ম্যাচের আগেও। সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজের কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্নে হেরাথ তুলে ধরলেন দলে বাঁহাতি পেসারের ভূমিকা। “আমাদের একটি বিষয় দেখতে হবে যে, মুস্তাফিজ শুরুর দিকে বোলিং করে, মাঝের ওভারে করে আবার শেষ দিকেও করে। তাই এক্ষেত্রে আমরা তার কাছ থেকে রান আটকে রাখার পাশাপাশি অনেক উইকেটের আশা করতে পারি না।”
“বোলার হিসেবে দলের সবচেয়ে কঠিন কাজটি করছে মুস্তাফিজ। এ বিষয়গুলো আমাদের বুঝতে হবে। আমি তাকে নিয়ে খুশি। তবে অবশ্যই বোলার, ব্যাটসম্যান বা অলরাউন্ডার হিসেবে উন্নতির জায়গা আছে অনেক। সেসব নিয়ে আমরা কাজ করব।”
সবশেষ ৫ ওয়ানডেতে দুইবার প্রথম ওভার বোলিং করেন মুস্তাফিজ। এক ম্যাচে বোলিংয়ে আসেন তৃতীয় ওভারে। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩তম ওভারে তাকে প্রথমবার আক্রমণে আনেন তামিম। পরের ম্যাচে দশম ওভারে প্রথমবার হাত ঘোরান বাঁহাতি পেসার।
প্রথম দুই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। তিন স্পিনার সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে পেসার হিসেবে ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজ।
তৃতীয় ম্যাচের আগে প্রশ্ন ওঠে, দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য মুস্তাফিজকে বাইরে রেখে স্কোয়াডের অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও ইবাদত হোসেনের মধ্যে কাউকে নেওয়ার কথা ভাববে কি না বাংলাদেশ? সরাসরি উত্তর না দিলেও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন হেরাথ। “যখনই সম্ভব হবে আমরা তরুণ কাউকে বা স্কোয়াডের অন্যদের সুযোগ দিতে চেষ্টা করব।”