অর্থনীতি ও বাণিজ্য ডেস্ক:
ডলারের পতনে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে। চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের স্বাক্ষরিত চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা হবে। প্রাধান্য থাকবে কৃষ্ণসাগরের মধ্য দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহন বিষয়ে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, চলতি সপ্তাহে তারা কৃষ্ণসাগরের মধ্য দিয়ে পরিবহন চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করছে। খবর দ্য বিজনেস রেকর্ডার।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) গমের মূল্য প্রতি বুশেলে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৬ ডলার ৮২ সেন্টে দাঁড়িয়েছে (১ বুশেল=৬০ পাউন্ড, ১ টন= ৩৬ দশমিক ৭৪ বুশেল)। সয়াবিনের দাম প্রতি বুশেলে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমান দাম উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫ ডলার ১৩ সেন্টে। তুলনামূলকভাবে কম হলেও বেড়েছে ভুট্টার দাম। প্রতি বুশেলে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৭ ডলারে। সম্প্রতি মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। ২০০৮ সালের পর প্রথম কোনো পশ্চিমা ব্যাংক এভাবে বন্ধ হলো। ঘটনার জের ধরেই পতন ঘটেছে ডলারে। ফলে ডলারের নিম্নমান হওয়ার অর্থ হলো অন্য মুদ্রার ক্রেতাদের জন্য তুলনামূলক সস্তা বাজার, যা দৃশ্যমান শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে। তবে বর্তমান বাজার তাকিয়ে কৃষ্ণসাগরে খাদ্যশস্য পরিবহনের চুক্তির দিকে। জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি চলতি সপ্তাহে জেনেভায় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবে। যদিও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। বরং দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিনিধিরা এখনো চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেনি।
বিশ্বের বৃহত্তম সয়াবিন রফতানিকারী হিসেবে পরিচিত আর্জেন্টিনা। ভুট্টা রফতানিতে অবস্থান তৃতীয়। চলমান বৈশ্বিক সংকটের বাইরেও দেশটা ভয়াবহ সংকট মোকাবেলা করছে। ৬০ বছরের ইতিহাসে এমন খরা দেখেনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। সয়াবিন ও ভুট্টা উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। কৃষকরা হতাশায় জর্জরিত। স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তি করা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে কিনা। যার প্রভাব বিশ্ববাজারে দৃশ্যমান।