বাংলাদেশের ক্রিকেটে গত কয়েক বছরে সবচেয়ে ভালো ব্যাপার কী ঘটেছে? প্রশ্নটার উত্তরে অনেকেই বলতে পারেন পেসারদের উন্নতির কথা। বহুদিনের আফসোস এখন আর নেই।
তিন ফরম্যাটেই পেসাররা দায়িত্ব নেন, ম্যাচ জেতান। নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়, ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করা অথবা টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক সাফল্য; সবকিছুতেই তারা রেখেছেন দারুণ ভূমিকা।
এ নিয়ে চারদিকে প্রশংসাও কম নেই। ক্রিকেটীয় আঙিনায় তো বটেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিয়মিত প্রশংসা কুড়ান পেসাররা। তাদের গুরু অ্যালান ডোনাল্ডকে নিয়েও থাকে আলোচনা। তাসকিন আহমেদদের উন্নতিতে তার ভূমিকা অনেক। প্রায়ই দেখা যায় একে-ওকে এটা বলছেন, ভিডিও করছেন অথবা ডাগ আউট থেকে পাঠাচ্ছেন বার্তা। ডোনাল্ডের কেমন লাগে প্রশংসা পেয়ে?
প্রশ্নটা শুনে বুধবার সিলেটের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, ‘কোচ হিসেবে আমরা এখানে বাহবা নিতে আসিনি, ইম্প্যাক্ট তৈরি করতে এসেছি। আমি অনেক সাক্ষাৎকারে আগেও বলেছি, এখানে শুধু একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারি। এরপর ক্রিকেটাররা সেটাতে বিশ্বাস করতে পারে অথবা অন্তত চেষ্টা করে এরপর তারা আগ্রহী না হতে পারে। ’
‘আমি যেটা বলছি, এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে পুরো একটা গ্রুপের ছেলেরা...শুধু গত ম্যাচে যারা খেলেছে, তারাই নয়। এখানে যারা নেই তারাও। হাসান মাহমুদ, শরিফুল, খালেদ; সবাই এই যাত্রার অংশ। এটা খুবই ভালো লাগছে। এটা দেখা অসাধারণ যে নতুন এপ্রোচ ও ভাবনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। ’
বাংলাদেশ দলের জন্য উন্নতির পথ আছে অনেক। তবে পেসারদের পারফরম্যান্সের সঙ্গে মানসিকতাও বেশ বড় প্রশংসনীয়। এ নিয়ে ডোনাল্ডও বলছেন, এমন কিছু দেখা তার জন্য আনন্দের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের উইকেট নিয়েও ডোনাল্ডের মুখে ছিল প্রশংসা।
তিনি বলেছেন, ‘সম্মিলিতভাবেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। এই জমাট মানসিকতার ব্যাপারে অনেকদিন ধরে বলছি। আমার মনে হয় এই দলের মানসিকতা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, এটা দারুণ। এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচে বল করেছি। সবার ইমপ্যাক্ট ছিল, প্রশ্ন তৈরি করতে পেরেছি, সুযোগও বানিয়েছি। খুবই আনন্দিত এসব দেখে। ’
সিলেটের উইকেট নিয়ে এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘আমাদের বলতে হবে এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট দিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে ক্যারি করেছে, গতিও ছিল। এজন্য ব্যাটাররাও রান পাচ্ছে। ’