Date: November 21, 2024

দৈনিক বজ্রশক্তি

Header
collapse
...
Home / অর্থনীতি / ভ্যাটে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি,সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট খাত থেকে

ভ্যাটে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি,সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট খাত থেকে

August 30, 2023 10:20:13 AM   ডেস্ক রিপোর্ট
ভ্যাটে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি,সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট খাত থেকে

ডেস্ক রিপোর্ট:

চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসের রাজস্বের হিসাবে সর্বাধিত ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ। আর জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট এসেছে সিগারেট খাত থেকে।
 

এনবিআরের ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর এই তিন বিভাগ মিলিয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৮ শতাংশ। আর এনবিআরের তিন অনুবিভাগের মধ্যে কাস্টমস অনুবিভাগ প্রবৃদ্ধি ১৩.৭০ শতাংশ এবং আয়করে ৯.৬৫ শতাংশ অর্জন করেছে।

আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ এমন অর্জনের তথ্য জানিয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুযায়ী চলতি অর্থ-বছরের জুলাই মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৭ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। যা ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাইতে আদায় ছিল ৬ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। ভ্যাট বেশি আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা।

চলতি বছরের জুলাই মাসের ভ্যাট সংগ্রহের এই উঁচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করেছেন ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি বিভাগের সদস্য ড. মইনুল খান।

জুলাই মাসের ভ্যাট আদায়ে শীর্ষে রয়েছে এলটিইউ ভ্যাট কমিশনারেট। এলটিইউর মোট আদায় ৩ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। আগের তুলনায় যা ৮৬০ কোটি টাকা বেশি। এই কমিশনারেটের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩১.৮৬ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক সময়ের ভ্যাট আহরণের রেকর্ড।

এছাড়া কুমিল্লা, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা পূর্ব, ঢাকা দক্ষিণ, রংপুর ও যশোর কমিশনারেট চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে তুলনামূলক ভালো করেছে। এদের সবার প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটের।

জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আহরণ হয়েছে সিগারেট খাত থেকে। এই খাতে মোট আদায় ১ হাজার ২১১ কোটি টাকা, যা আগের তুলনায় ২৫.৯২ শতাংশ বেশি। অন্যান্য বড় খাত হচ্ছে মোবাইল অপারেটর, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, পেট্রোলিয়াম পণ্য, সিরামিক টাইলস, বাণিজ্যিক ফ্লোর স্পেস ও প্রকিউরমেন্ট সেবা।

এছাড়া মিষ্টির দোকানের ভ্যাট আদায়ও বেড়েছে ২৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মিষ্টি খাতে ভ্যাট ১৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ এ হ্রাস করা হয়। তা সত্ত্বেও এই খাতে ভ্যাট আদায় কমেনি, বরং বেড়েছে। অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ের ভ্যাট কর্মকর্তাদের তৎপরতা ও তদারকি অনেক বেড়েছে বলে মনে করছেন এনবিআর।