স্পোর্টস ডেস্ক:
গেলবার ফাইনালে এসে প্রথম পরাস্ত হওয়া গোলরক্ষক রূপনা চাকমার প্রতিরোধের দেয়ালে চিড় ধরেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই। যদিও তার দায় খুব বেশি নয়, তবু তিনি ‘ক্লিনশিট’ ধরে রাখতে পারেননি। তবে, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে গোলকিপার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল জানালেন, কঠিন পরীক্ষা সামনে রেখে প্রস্তুত তার তিন গোলরক্ষকই।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে হার এড়াতে পারলেও সেরা চারের মঞ্চে উঠবে পিটার বাটলারের দল।
ভারতের বিপক্ষে গতবার ৩-০ গোলে গ্রুপ পর্বের দেখায় জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যে পাকিস্তানকে দুই বছর আগের দেখায় ৬-০ গোলে হারিয়েছিল মেয়েরা, এবার তাদের সঙ্গে ১-১ ড্রয়ে ছিটকে পড়ার শঙ্কাও উঁকি দিতে শুরু করেছে।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে যদিও ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মিডফিল্ডার মনিকা চাকমা জয়ের আশাবাদ জানিয়েছেন। তবে বালা দেরি, দোংমেই গ্রেসির মতো গোলমেশিনদের বিপক্ষে রূপনা, ইয়ারজান বেগম ও মিলি আক্তার-তিন গোলকিপারকেই প্রস্তুত রাখছেন গোলরক্ষক কোচ উজ্জ্বল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় প্রত্যাশিত গোল পায়নি বাংলাদেশ। দল প্রথম গোল হজম করেছিল রক্ষণের ব্যর্থতায়। ভারত ম্যাচের ফলের সাথে গোল ব্যবধানও গুরুত্বপূর্ণ। উজ্জ্বলের বিশ্বাস, প্রত্যাশা পূরণের সামর্থ্য আছে তার তিন শিষ্যেরই।
“তিন গোলরক্ষকই শতভাগ প্রস্তুত। রুপনাকেই পোস্টের নিচে আশা করছি। আপনারা জানেন, আমার প্রতিটি গোলরক্ষকেরই উচ্চতার সমস্যা আছে। তো এরিয়াল বলগুলো নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, যেগুলো নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি, দেশে এবং দেশ থেকে আসার পরে। আজও আপানারা দেখেছেন, আমরা এরিয়াল বল নিয়ে কাজ করেছি। মেয়েদের উন্নতি দেখে আমি সন্তুষ্ট।”
“আমি আমার তিন গোলকিপার নিয়েই খুশি। আজকেও আপনারা দেখেছেন, সেট-পিস নিয়ে কাজ হয়েছে। আমার পরবর্তী যে দুই গোলকিপার আছে ইয়ারজান ও মিলি, দুজনেই প্রস্তুত আছে। আমি যাকে ইচ্ছা রূপনার জায়গায় কাজে লাগাতে পারব। আমি গোলকিপিং পজিশন নিয়ে ভয় পাচ্ছি না। বদলি গোলকিপারের সাথে প্রথম পছন্দের গোলকিপারের ব্যবধান উনিশ-বিশ।”