স্কুল কলেজের ক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তবে ইতোমধ্যে যারাএই শিক্ষাক্রমে ঢুকে গিয়েছে অর্থাৎ নবম শ্রেণীতে পড়ে, তারা যাতে কোনভাবে বিপাকে না পড়ে, তারা যাতে স্বস্তিতে থাকে, বিভ্রান্ত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান।
এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে তিনি বলেছেন, এটি বাস্তবায়নযোগ্য না। এজন্য সেটা তো রাখা যাবে না।
সর্বশেষ নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু হয় ২০২১ সালে। এই শিক্ষাক্রম কতোটা কাজ করছে সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে।
সেই গবেষণা প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন বর্তমান পর্যায়ে আমাদের যে শিক্ষক আছে তা দিয়ে। এবং এটা যে আমাদের দেশের জন্য সর্বক্ষেত্রে উপযোগী তাও আমরা মনে করছি না। শিক্ষাক্রমকে আমরা খুব সম্ভবত কার্যকর করা সম্ভববলে দেখছি না।
তিনি এটাও বলেছেন যে “শিক্ষাক্রমকে আধুনিক করা প্রয়োজন, পাঠক্রম উন্নত করতে হবে, সময় বদলাচ্ছে। আমাদের দেশের জন্য উপযোগী, বাস্তবায়নযোগ্য পাঠ্যক্রমের জন্য সময় প্রয়োজন”।
এছাড়া দেশের সার্বিক শিক্ষা খাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা এখানে দখলদারিত্বের যে রাজনীতি সেটার মধ্যবর্তী সময়ে অন্তত চেষ্টা করবো একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অন্যান্য দেশে যেভাবে চলে সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে”।
স্কুল কলেজের যে বোর্ডগুলো আছে বেসরকারি খাতে, বোর্ডগুলো প্রচণ্ড দলীয়করণ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেইসাথে বোর্ড প্রধানদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
“দখলদারির বিষয় যে এদেরকে সরিয়ে দিয়ে আবার অন্য দল আসবে একই ধরণের আমরা এমনটা চাই না। আমরা চাই বেসরকারি স্কুল কলেজ কমিটিগুলো যেন ভালো মানুষ দিয়ে তৈরি হতে পারে”।