
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
কখনো ইন্টার্ন ডাক্তার, কখনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, আবার কখনো হাসপাতালের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করাই ছিল তার নেশা ও পেশা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুদর্শন রূপে নিজেকে উপস্থাপন করে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ফাঁদে ফেলাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
ফরিদপুরের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীও তার শিকার হন। সম্পর্ক গড়ে তুলে সে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে এবং সেই ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী ফরিদপুর নারী ও শিশু আদালতে রিওনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন (মামলা নং ২৮, তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪)।
মামলার খবর জানতে পেরে রিওন আত্মগোপনে চলে যায়। তবে শনিবার (১ মার্চ) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)–১০-এর একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিওন ফরিদপুর সদর উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের বারখাদা গ্রামের আমজাদ খার ছেলে।
মামলার বাদী বলেন, "রিওন শুধু আমাকে নয়, আরও অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।"
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহাদ বলেন, "আসামি অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তার জব্দকৃত মোবাইল ঘেঁটে বুঝতে পেরেছি, অনেক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তার মোবাইল থেকে পাওয়া আলামত ঢাকা সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।"