ডেস্ক রিপোর্ট:
কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী র্যাব ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ(১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর অপতৎপরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে চায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।
গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের মূল ম্যান্ডেট জঙ্গি গ্রেপ্তার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, পরে হরকাতুল জিহাদ তৎপর ছিল। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা কিছুটা কম ছিল। গতবছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি বলেন, আমরা যে তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এই পুরনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার আল ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।