গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার এডিলেইডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানব পাচার ও চোরা চালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আপরাধ বিষয়ক অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয়। বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মত সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বাড়াতে অবদান রাখছে, যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। খবর বাসসের
শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্মেলনের সাইড লাইনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, মানবিক সাহয্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করার বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার দু’টি প্রসিদ্ধ গণমাধ্যম এবিসি নিউজ ও দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেন। অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অধিক ভূমিকা রাখাসহ সেদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করবে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশগুলোকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।