শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতের আঁধারে এক শিক্ষিকার জমিতে থাকা প্রায় তিন শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের রুহুল আমিন আকন্দের স্ত্রী ও আলহাজ্ব নওয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শামীমা নাসরিনের জমিতে এই নেক্কার জনক ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা অবস্থায় দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রুহুল আমিন আকন্দ শ্রীপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা? গাছের কি দোষ ছিল? কেনই বা একজন শিক্ষিকার সাথে এমন শত্রুতা করতে হবে। এবিষয়ে অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলকাবাসী।
সরজমিনে দেখা যায়, আধা বিঘা জমিতে প্রায় তিন শতাধিক আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস (কাঠ) গাছের চারা রোপণ করেন বছর খানেক আগে। চারাগাছ গুলোত শক্ত বাঁশের খুঁটি দিয়ে সুন্দর করে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে। অথচ এক রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বাগানের ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে ফেলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিদা (৪০) অভিযোগ করে বলেন, এ শিক্ষিকার আমাদের এলাকার উপকার ছাড়া কাউকে কোনদিন ক্ষতি করেনা, গাছ গুলো যারা কেটে দিল এটা খুবই দুঃখজন। যারা এ কাজ করেছে তারা অমানুষ। আমরা এর বিচার দাবি করছি।
প্রতিবেশী দুলাল মন্ডল (৬৫) বলেন, যে কাজটা করা হয়েছে, সেটা মানুষ খুন করার মতো অপরাধের থেকে বেশি মনে করি। আমরা চাই দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দেওয়া হোক।
আরেক প্রতিবেশী জালাল (৪৫) বলেন, এভাবে একজন মানুষের ক্ষতি করে লাভ কী? এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করলে আর কেউ এমন কাজ করার সাহস পাবে না।
শিক্ষিকার স্বামী রুহুল আমিন আকন্দ বলেন, আমার স্ত্রীর জমিতে থাকা গাছগুলো এভাবে কেটে নিয়ে অনেক বড় অপরাধ করেছে, এঘটনায় আমি আইনের সরণাপন্ন হয়েছি। আশাকরি পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইনুল হক বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।