স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব (অব.) সংস্থাটির স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও স্বনির্ভর জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরণে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে তোমাদের আর্তমানবতার সেবায় বেরিয়ে পড়তে হবে। তবেই সমগ্র বাংলাদেশের মানবতার জয়ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হবে গোটা বিশ্বে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুব নেতৃত্ব’ প্রতিপাদ্যে গাজীপুরের মৌচাকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জাতীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্পের ১৪তম এই আয়োজনে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ১৫শ যুব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভূটান, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও পাকিস্তানের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছে। তিন দিনের স্বেচ্ছাসেবক ক্যাম্পে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনকে গতিশীল করতে অংশগ্রহণকারী যুব সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যুব সদস্যদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে এবং সর্বস্তরে স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব সৃষ্টিই এই ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য।
সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ এম এ সালাম। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সম্মানিত সদস্যরা, সোসাইটির মহাসচিব, উপ-মহাসচিব, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জানা গেছে, তিন দিনব্যাপী এই ক্যাম্প চলবে আগামী ২১ ডিসেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত। বুধবার ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে সকালে বিজয়ের মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম দিনের কর্মসূচি। পরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ কুচকাওয়াজে অংশ নেয় এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক। মানবতার শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে গ্রহণ করা হয় শপথ।