ডেস্ক রিপোর্ট:
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। সেতু থাকলেও সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি সরে গেছে। স্থানীয়রা সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ওই সেতুর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের টেঙ্গারচর গ্রামের তিস্তা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার টেঙ্গারচর ও হোসেন্দী গ্রামে যাতায়াতের জন্য টেঙ্গারচর গ্রামে তিস্তা খালের ওপরে চলতি বছর এপ্রিল মাসে প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ সেতুটি বাস্তবায়ন করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই সেতুটির পূর্বপাশে হাজী আব্দুল সালামের বাড়ি। পশ্চিম পাশে আব্দুল হাইয়ের বাড়ি। খালের দৈর্ঘ্যের তুলনায় সেতুর দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো বানানো হয়েছে। দুটি গ্রামের অন্তত হাজারো মানুষ প্রতিদিন সেতুটি ব্যবহার করেন। তবে সেতুর দুইপাশে মাটি না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহারে স্থানীয়দের দুর্ভোগ কমার পরিবর্তে উল্টো দুর্ভোগ বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিউদ্দিন মিয়াজি (৪০) বলেন, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণ হলেও আমাদের দুর্ভোগ কমেনি বরং বেড়েছে। সেতুতে উঠানামায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে। বয়স্ক মানুষের জন্য এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠানামা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সেতুর দুই পাশের সড়কের অধিকাংশ অংশ ভাঙ্গা এবং দখল হয়ে গেছে। তাই সেতুটি আমাদের তেমন উপকারে আসছেনা।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার বলেন, সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। বাঁশের সাঁকো পার হয়ে সেতুতে উঠানামা করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমার চেয়ে অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থীও নিয়মিত এ পথে যাতায়াত করে।
এ ব্যাপারে টেঙ্গারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজী বলেন, আমি গত ১৫ জুলাই সরেজমিনে সেতুটি পরিদর্শন করেছি। সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক নেই। বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে সেতুতে উঠানামা করতে হয়। এসব সমস্য দূর করতে সেখানে বালি ফেলা ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা দরকার। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সেতুটির এপ্রোচ ভরাট করার জন্য মাত্র ৬৫ হাজার টাকা ধরা আছে। তবে বাস্তবে খরচ পরবে তার কয়েক গুণ বেশি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ বাকি থাকায় আমরা তাদের পুরো বিল দেয়নি। সেতুর এপ্রোচ মাটি ভরাটের আমরা আরেকটি প্রজেক্ট দিব। কাজটি শেষ হলে সেতুটি ব্যবহারকারীদের আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।