স্টাফ রিপোর্টার:
বেসরকারি স্কুল-কলেজে সভাপতি পদে বসতে হলে এইচএসসি পাস হতে হবে। আগে এ ধরনের কোনো নিয়ম না থাকলেও সংশোধন হচ্ছে গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে এমন তথ্য। এরইমধ্যে এমন বিধান রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকস্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৩। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, শিগগির নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে হলে স্নাতক বা ডিগ্রি পাস বাধ্যতামূলক করার পর সেখানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আগের প্রবিধানমালা-২০০৯-এ বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজের গভর্নিং বডির সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনের পর নির্বাচিতরা সাতদিনের মধ্যে সভাপতি নির্বাচনের জন্য সভা আহ্বান করবেন। সে অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হতো। এ ক্ষেত্রে কোনো সদস্য কিংবা স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি বা অবসরপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করা হতো। বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হতো। মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা প্রথম শ্রেণির কোনো কর্মকর্তাকে দেওয়া হতো এই দায়িত্ব। এক ব্যক্তির দুইয়ের অধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালনের সুযোগ ছিল না। ২০১৯ সালে নভেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে হলে স্নাতক পাস হতে হবে বলে নীতিমালা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে করে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেকাংশে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। এরপর মাধ্যমিকেও সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণের দাবি উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। অবশেষে সব শিক্ষা বোর্ড, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদদের পরামর্শে এই মানদণ্ড আপাতত এইচএসসি পাস নির্ধারণ করা হয়।
নতুন প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিকের ম্যানেজিং কমিটি ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হতে হলে নূন্যতম এইচএসসি পাস হতে হবে। একজন ব্যক্তি দুটি মাধ্যমিক ও দুটি কলেজ মিলিয়ে সর্বোচ্চ চারটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন। এ ছাড়া সরকারি আমলারা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনাপত্তি সনদ নিয়ে হতে পারবেন সভাপতি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, নতুন প্রবিধানমালা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। যতটুকু জানি স্কুল ও কলেজের সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন আরও কয়েকটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।