খেলারপত্র ডেস্ক:
মাত্র ৩২ রানেই ঢাকা লেপার্ড হারিয়ে ফেলল তিন উইকেট। এরপর পথ হারানোই ছিল তাদের নিয়তি। কিন্তু সাব্বির হোসেন ও উমর আমিন সেটি হতে দিলেন না। দুই ব্যাটারের জুটি জমে উঠলো, ম্যাচে ধীরে ধীরে ফিরে এল ঢাকা লেপার্ড। উমর সেঞ্চুরি পেলেন, সাব্বির পাননি। তবে তার দৃঢ়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। হাই-পারফরম্যান্স ইউনিটে ছিলেন সাব্বির। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও আছেন দারুণ ছন্দে। তিনি প্রয়োজনে স্ট্রাইক রোটেট করেছেন, হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারিও। তাদের লড়াই অবশ্য কাজে আসেনি শেষ অবধি। শুরুতে চিরাগ জানির লড়াইয়ে আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়েছিল লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। শেষেও চিরাগের দারুণ বোলিংয়ে জিতেছে তারা।
বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা লেপার্ডকে ১ রানে হারিয়েছে রুপগঞ্জ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করে রুপগঞ্জ। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানে থামে লেপার্ড। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রুপগঞ্জের। ১৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুনিম শাহরিয়ার। কিন্তু পরের দুই ব্যাটারই দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। পারভেজ হোসেন ইমন ৭০ বলে ৫৫ ও সাব্বির রহমান ৬৬ বলে করেন ৫৪ রান।
তবে রুপগঞ্জের রান বড় করার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব চিরাগ জানির। ভারতীয় অলরাউন্ডার ৭ চারে ৫০ বলে করেন ৬৯ রান। লেপার্ডের হয়ে ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মঈন খান। আরিফুল জনি ও উমর আমিন নেন দুটি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় লেপার্ড। ৩২ রানে তারা হারায় তিন উইকেট। এরপরই শুরু হয় সাব্বির হোসেন ও উমর আমিনের লড়াই। শুরুতে ধীরস্থির থেকে দলকে তুলে আনেন তারা। উমর আমিন রিটায়ার্ড হার্টের আগে এই জুটি থেকে আসে ১৬৭ রান।
দুটি বাউন্ডারি হাঁকানো সাব্বির লড়েছেন পুরো ইনিংসজুড়ে। ৯১ বলে ৬৪ রান করে চিরাগ জানির বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে আউট হন সাব্বির। তার বিদায়ের পরই ম্যাচ কঠিন হয়ে পড়ে লেপার্ডের জন্য।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য লেপার্ডের সমীকরণ দাঁড়ায় ৭ রান। কিন্তু চিরাগ জানির কাছ থেকে সেটা আদায় করে নিতে পারেনি তারা। ১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। শেষদিকে ক্রিজে নেমে জেতাতে পারেননি উমর আমিন। ১৩৩ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫৯ রান করার পাশাপাশি ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার পুরস্কার জেতেন চিরাগ জানি।