শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দূষণ মোকাবিলার মাধ্যমে সমুদ্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর, উদ্ভাবনীমূলক ও টেকসই সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। দূষণ সমুদ্রের স্বাস্থ্য তথা সমগ্র পৃথিবীর জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতায় সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করা ও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের একসাথে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব মহাসাগর দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহযোগিতায় এর আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও পন্থা, যথা: বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ ব্যবহার, উন্নত বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা এবং সমুদ্র পরিষ্কারের উদ্যোগ প্রভৃতি দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এই ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণা ও উন্নয়ন আমাদের সমুদ্র সুরক্ষায় আরও কার্যকর, অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ও টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি স্থান মহাসাগর বা সমুদ্রের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের গ্রহের জন্য বসবাসের অনুকূল পরিবেশ বজায় ও মানবসভ্যতার অস্তিত্ব সুরক্ষায় সমুদ্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্লাস্টিক দূষণ, রাসায়নিক দূষণ, ভারী ধাতুজনিত দূষণ, তেল ছড়িয়ে পড়া এবং সামুদ্রিক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে সমুদ্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বা পরিবেশ মারাত্মক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, দূষণ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অবনতি করছে, উদ্ভিদ ও প্রাণীর ক্ষতি করছে এবং মানব স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। এ সমস্যার সমাধানে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। তাছাড়া, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে সামুদ্রিক দূষণ নিয়ন্ত্রণকে সর্বাগ্রে গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন।